নয়াদিল্লি:  স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৌর্য সম্মান শৌর্য চক্র প্রদান করা হল প্রয়াত কর্নেল নিরঞ্জন ইকে-কে। তিনি এনএসজি-র বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান ছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এক মৃত জঙ্গির দেহে বেঁধে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় তা ফেটে মৃত্যু হয় নিরঞ্জনের।


নিরঞ্জন ছিলেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। সেইসঙ্গে এনএসজির বিশেষ বাহিনীর কম্যান্ডো। বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে তিনি ছিলেন অত্যন্ত অভিজ্ঞ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফলভাবে এই কাজ করেছেন তিনি। সেরকমই পাঠানকোটের ঘটনায় মৃত জঙ্গির দেহের বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে গিয়েছিলেন তিনি। দুই জঙ্গির দেহের বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ সেরেও ফেলেন তিনি। দুর্ঘটনা ঘটে তৃতীয় জঙ্গির ক্ষেত্রে। জঙ্গির পকেটে থাকা গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিরঞ্জনের ফুসফুস ফেটে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।