আমদাবাদ: নতুন বিজেপি সরকারে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ গুজরাতের উপ মুখ্যমন্ত্রী নীতিন পটেলের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ১ জানুয়ারি মেহসানা বনধ ডাকলেন পাতিদার নেতা লালজি পটেল। নীতিনকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে, দাবি লালজির। এই দাবি পূরণ না হলে গুজরাত বনধ ডাকার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
আজ দলবল নিয়ে নীতিনের সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সর্দার পটেল গ্রুপ (এসপিজি) গোষ্ঠীর আহ্বায়ক পটেল, যিনি হার্দিক পটেলের পাতিদার অনামত আন্দোলন সমিতির সঙ্গে পাতিদার সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। লালজি সাংবাদিকদের বলেন, বিজেপি বারবার নীতিন-ভাই পটেলের প্রতি অবিচার করছে। তাঁর সমর্থনে ১ জানুয়ারি মেহসানায় বনধ ডেকেছি।
প্রসঙ্গত, নীতিন পটেল মেহসানার বিধায়ক। ওখানে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ পাতিদার। সাম্প্রতিক পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে মেহসানা।
লালজি বলেন, গুজরাতের মানুষ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলও তিনি সরে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিন পটেলকেই চেয়েছিলেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হলেও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সর্বশেষ ঘটনাবলীতে মানুষ ক্ষুব্ধ। নীতিন-ভাই মুখ্যমন্ত্রী পদের সঠিক ব্যক্তি। আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কী করা দরকার, জানতে চেয়েছি। উনিই ঠিক করুন, কী করবেন। উনি বলেছেন, পার্টি হাইকম্যান্ড দুদিনেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে জানিয়েছে। আগের সরকারে নীতিনের হাতে অর্থ, নগরোন্নয়নের মতো দপ্তর থাকলেও বর্তমান সরকারে তাঁকে রাস্তা, ভবন ও স্বাস্থ্যের মতো তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দেওয়া হয়েছে বলে তিনি নাকি অসন্তুষ্ট।
কেতন পটেল নামে হার্দিকের সংগঠন ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরেক পাতিদার নেতাও নীতিনের সঙ্গে দেখা করে এসে বলেন, অসন্তুষ্ট পাতিদার গোষ্ঠীকে বুঝিয়ে শান্ত করতে নিরলস কাজ করেছেন নীতিন পটেল, দলকে ক্ষমতায় ফেরাতেও বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। বিজেপি হাইকম্যান্ডের তাঁর ক্ষোভ দূর করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে বিরোধীরা এর ফায়দা তুলতে না পারে।