নয়াদিল্লি: এবার জালিয়াতির শিকার খোদ পেটিএম? দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ওয়ালেট সংস্থার অভিযোগ, ১৫ জন গ্রাহক তাদের ৬ লক্ষাধিক টাকা জালিয়াতি করেছে। সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা।


পেটিএমের ম্যানেজার (লিগাল) শিবকুমার জানান, পেটিএমের মাধ্যমে কেনা কোনও গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ সামগ্রী পেলে, নিয়মানুসারে সংস্থা তার পুরো টাকা গ্রাহককে দেয়। পাশাপাশি, ওই ত্রুটিপূর্ণ সামগ্রীটি ফেরত দেওয়া হয় সেই সংস্থাকে, যারা তা তৈরি করছে বা বেচছে।


জানা গিয়েছে, এই ফেরত দেওয়ার সময় (রিভার্স পিকআপ) খরচ বহন করে পেটিএম। কারণ, তা সাধারণত করে থাকে পেটিএম-র কর্মীরা। এর জন্য নির্দিষ্ট কাস্টোমার একজিকিউটিভ রয়েছে।


তাঁদের নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে এধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করা হয়। ওই একজিকিউটিভরাই টাকা জোগাড় করে গ্রাহককে ফেরত দেন।


শিবকুমারের অভিযোগ, ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে এমন ৪৮টি ঘটনার খোঁজ মিলেছে, যেখানে গ্রাহকরা সঠিক ও ত্রুটিহীন সামগ্রী পেলেও, তাঁরা টাকা ফেরত পেয়েছেন। অথচ, সামগ্রীও তাঁদের কাছে রয়ে গিয়েছে। কারণ, তাঁরা কোনও অভিযোগই তো দায়ের করেননি। পেটিএমের দাবি, এই গোটা আর্থিক তছরুপের মূল্য প্রায় ৬.১৫ কোটি টাকা।


পেটিএমের এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন গ্রাহক ও পেটিএমের অজ্ঞাতপরিচয় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। সিবিআই-এর তরফে ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কোনও সাড়া মেলেনি।


তবে, পেটিএমের ঘটনার চেয়েও বেশি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করায়। অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। শুরু হয়েছে জল্পনা। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট বা কেন্দ্রের নির্দেশ না পেলে সাধারণত কোনও মামলা স্বেচ্ছায় হাতে নেয় না সিবিআই। ফলে, এটা ব্যতিক্রম।


এই প্রসঙ্গে, কর্মী কম থাকা সত্ত্বেও কেন এই মামলা নেওয়া হল, এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আওতায় তারা যে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে।