শ্রীনগর: নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মেহবুবা মুফতির বৈঠকের দিন জঙ্গিদের হাতে প্রাণ গেল জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর দল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) পুলওয়ামা জেলা সভাপতি আবদুল গনি দার।
সোমবার দুপুরে শ্রীনগর থেকে প্রায় ৩১ কিমি দূরে পিঙ্গলেনা এলাকায় তাঁকে খুব কাছ থেকে একে অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে তিনবার গুলি করে জঙ্গিরা। দুটি বুকে, একটি তাঁর ঘাড়ে লাগে। পেশায় আইনজীবী দারকে সঙ্গে সঙ্গে এসএমএইচএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী অবশ্য খুনের দায় স্বীকার করেনি। গত ১ সপ্তাহে দক্ষিণ কাশ্মীরে দ্বিতীয় রাজনৈতিক হত্যা এটি। ১৭ এপ্রিল সোপিয়ানে বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স সঙ্গে যুক্ত এক প্রাক্তন সরকারি কৌঁসুলি প্রাণ হারান সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে।
এদিকে সরকারি  নির্দেশে ৫দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার কাশ্মীরে কলেজগুলি খুললেও ফের অশান্তি ছড়ায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে। পুলিশ জানিয়েছে, এসপি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও এসপি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মৌলানা আজাদ রোডে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। বিক্ষোভে প্রচুর ছাত্রী সামিল হয়েছিল বলে জানান এক পুলিশকর্তা। ৬  জন পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। পড়ুয়ারা আজাদির দাবিতে স্লোগান দেয়, নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করে পাথর ছোঁড়ে। পুলওয়ামা কলেজে বিক্ষোভ মোকাবিলায় কাঁদানে গ্যাস, পেলেট ছোঁড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। জখম হয় ৫০-এর বেশি পড়ুয়া।

পড়ুয়াদের দাবি, কলেজে ঢুকে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি-বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য  করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের 'স্বাধীনতা'-বিরোধী স্লোগান দিতেও বলা হয়। আপত্তি করলে চলে 'দমনপীড়ন'। যদিও পুলিশ অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা বলেছে, কলেজ থেকে ২০০ মিটার দূরে মামুলি ব্যারিকেড বসানো  হয়। এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, ক্লাস শেষ হতেই কিছু দুষ্কৃতী ব্যারিকেডে মোতায়েন বাহিনীর দিকে পাথর ছোঁড়ে।