নয়াদিল্লি: কাশ্মীরীদের রক্ষার দায়িত্ব ভারত সরকারের। সেনা দেখবে, উরির মত জঙ্গি হামলা আর যাতে না ঘটে, যাতে দেশের নাগরিকরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। উরি সন্ত্রাসের পর প্রথম ‘মন কি বাত’-এ বললেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর ওপর দেশের পূর্ণ আস্থা আছে। সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক নেতা- সকলের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার জায়গা আছে, তা তাঁরা করেও থাকেন। কিন্তু সেনা তা করে না। তাদের বীর্যই কথা বলে তাদের হয়ে।


১৮ সেপ্টেম্বরের উরি সন্ত্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮জন সেনাকর্মী। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওই প্রাণহানি শুধু মৃত সৈনিকদের পরিবারবর্গেরই ক্ষতি নয়, গোটা দেশের ক্ষতি। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও ফের জানিয়েছেন তিনি।

রবিবারের এই এপিসোডের সঙ্গে দু’বছরে পা দিল ‘মন কি বাত’। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের আলাপচারিতার বেশ কিছুটা জুড়ে ছিল কাশ্মীর অশান্তির প্রসঙ্গ। প্যারালিম্পিক্সের মেডেল জয়ীদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

কাশ্মীর অশান্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরীরা বুঝতে শুরু করেছেন, কারা দেশের ক্ষতি চাইছে। শান্তি ও উন্নয়নের পথে পা বাড়াতে চান তাঁরা। বাবা মায়েরা চান, অশান্তি শেষ হোক, দ্রুত চালু হোক ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ। কাশ্মীরীরা চান, তাঁদের খাদ্য ও ফলমূল পৌঁছে যাক গোটা দেশের বাজারে। ব্যবসাবাণিজ্য মসৃণভাবে চলুক। কাশ্মীরী জনতার প্রতি তাঁর আহ্বান, শান্তি, সম্প্রীতি ও সংহতির মাধ্যমেই সমস্যা মেটাতে হবে, উন্নয়নের পথ ধরে এগোতে হবে সকলকে। সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে তাঁদের রক্ষা করা ভারত সরকারের দায়িত্ব।