নয়াদিল্লি: গরুর কেন জাতীয় পশুর তকমা পাওয়া উচিত তা বোঝাতে গিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা জাতীয় পাখি ময়ূর প্রসঙ্গে এমন কথা বলেছেন, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টাতামাশা শুরু হয়েছে। বিচারপতি বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ময়ূরের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এজন্যই ময়ূর জাতীয় পাখি। ময়ূর আজীবন ব্রহ্মচারী থাকে। অশ্রুতেই ময়ূরীর সঙ্গে তার মিলন ঘটে। তাতেই সন্তান জন্মায়। কৌমার্যতা বজায় রাখে বলেই ভগবান কৃষ্ণ তাঁর মাথায় ধারণ করেছিলেন ময়ূরের পালক।

অবসরের আগে বিচারপতি হিসেবে শর্মার গতকালই ছিল শেষ দিন। জয়পুরে সরকারি গোশালায় গরুদের অবস্থার অবনতি নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্টে। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে গরুকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করেন বিচারপতি। এরপর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ময়ূর সম্পর্কে তাঁর ওই তত্ত্বর কথা জানান বিচারপতি শর্মা।

তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গবিদ্রুপ শুরু হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ট্যুইটারে কটাক্ষ করে লেখেন, 'গরু অক্সিজেন নেয়, অক্সিজেন ছাড়ে। ময়ূর ব্রহ্মচারী। কী সব জ্ঞানের কথা বলছেন বিচারপতি সাহেব। শীঘ্রই আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলির সংশোধন করতে হবে'।

অন্য একজনের ট্যুইটারে টিপ্পনি- পুষ্পা আই হেট টিয়ার্স, ময়ূরের মুখে এ কথা শুনলে ময়ূরী নিশ্চয় রেগে যায়।

এ ধরনের বিভিন্ন ট্যুইটের মাধ্যমে বিচারপতির মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।