নয়াদিল্লি: গণপিটুনিতে দুগ্ধ ব্যবসায়ী পেহলু খানের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় জনকে ক্নিনচিট দিল রাজস্থান পুলিশ। একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।গত এপ্রিল মাসে রাজস্থানের জয়পুর থেকে গরু কিনে নিয়ে হরিয়ানায় বাড়িতে ফিরে আসার পথে আলওয়ারে গোরক্ষকদের মারধরে মৃত্যু হয় পেহলু খানের। গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলেও। তাঁদের কাছে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তথাকথিত গোরক্ষকদের তাণ্ডব আটকানো যায়নি। এই ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মৃত্যুর আগে পেহলু ওই ছয়জনের নাম পুলিশকে জানিয়েছিলেন।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের এই হত্যার মামলা থেকে রেহাই দিতে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ তৈরির চাঞ্চল্যকর অভিযোগও উঠেছে।

পুলিশ যে ছয় অভিযুক্তকে ছাড় দিয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন হিন্দু দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। একটি গোশালার কর্মী ও মোবাইল ফোন রেকর্ডে ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ছাড় দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করে সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলের প্রায় চার কিলোমিটার দূরের ওই গোশালার কর্মী জানিয়েছেন যে, ওই ছয় অভিযুক্ত- ওম যাদব (৪৫), হুকুম চাঁদ যাদব (৪৪), সুধীর যাদব (৪৫), জগমল যাদব (৭৩), নবীন শর্মা (৪৮), রাহুল সাইনি (২৪) ঘটনার সময় গোশালায় ছিলেন। ওই গোশালার পৃষ্ঠপোষক আবার এক অভিযুক্ত জগমল যাদব।

এক পুলিশ কর্মী ও গোশালার কর্মী সহ সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের কেউই পেহলুর ওপর আক্রমণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। মোবাইল কল রেকর্ডেও তার প্রমাণ রয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।  এর ভিত্তিতে ওই ছয় জনের নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে আরও নয়জন। তাদের মধ্যে দুজন নাবালক। গত ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্তকারী সিআইডি-ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাদের তদন্ত রিপোর্ট আলওয়ার পুলিশের কাছে পাঠিয়ে ওই ছয়জনের নাম অভিযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ পেহলু খানের পরিবার। তাঁদের দাবি, হামলার সময় অভিযুক্তদের একে অপরের নাম ধরে ডাকতে তাঁরা শুনেছিলেন।