চণ্ডীগড়: করোনা প্রতিরোধ করতে লকডাউন গোটা দেশ। নিষেধ বাড়ির বাইরে বেরনো। ব্যাঙ্ক বা এটিএমে যেতে হলেও তো ভাঙতে হবে সেই নিয়ম! তবে কী করে হাতে আসবে নগদ? চণ্ডীগড়ে এই সমস্যার সমাধান করেছে রাজ্য সরকার। শহরবাসীর বাড়ির দরজায় দরজায় এখন পৌঁছে যাচ্ছে এটিএম।


চাকা লাগানো ভ্যানে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি এটিএম মেশিন। আর সেই ভ্যানই গত দুদিন ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের রাস্তায় রাস্তায়। এখনও অবধি ২০০ জনেরও বেশি মানুষ সুবিধা পেয়েছেন এই চলমান এটিএমের।


ব্যাঙ্ক অফিসার নবীন কুমার জানান, ‘এখনও অবধি এই নতুন প্রচেষ্টায় খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। তবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই একজন সীমিত অঙ্কের টাকা তুলতে পারছেন।’


করোনা রুখতে স্যানিটাইজেশনের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এই চলমান এটিএম থেকে যাতে কোনও রকমের সংক্রমণ না ছড়ায় সেইদিকে কড়া নজর রেখেছে ব্যাঙ্ক।


নবীন জানান, এটিএম মেশিন ভ্যানে ওঠার আগে ও টাকা তোলার পরে প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। এমনকী, রোজ রাস্তায় বেরোনোর আগে সমস্ত এটিএম মেশিন সহ ভ্যানগুলিকে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।


এটিএমের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যেও বজায় রাখা হচ্ছে এক মিটারের দূরত্ব।


গত মঙ্গলবার গোটা দেশে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখনও অবধি করোনা ভাইরাসের সঠিক ওষুধ আবিষ্কার না হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকেই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ২১ দিনের এই লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।


এখনও অবধি গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।