বিজেপি এবার ত্রিপুরায় বাম সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আশাবাদী। নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের (এনইডিএ) চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘বামফ্রন্ট সরকারের নিয়তি স্পষ্ট। বর্তমান সরকারের কুশাসন ও দুর্নীতিতে মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছেন।’
ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে এবার আইপিএফটি-র সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। বাম-বিরোধী এই দলটি উপজাতিদের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়ে আসছে। এনইডিএ চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘গত তিন বছরে আমরা গ্রামীণ ও পার্বত্য অঞ্চল সহ ত্রিপুরার সর্বত্র সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছি। এবার আমরাই ক্ষমতায় আসব।’
গত বছর পাঁচজন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ রায়বর্মণ বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় এবার পালাবদল নিশ্চিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের লড়াই হয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।’
সিপিএম অবশ্য বিজেপি-র দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, ত্রিপুরার মানুষ ফের বামফ্রন্ট সরকারের উপরেই আস্থা রাখবেন। ত্রিপুরায় সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বিজন ধর বলেছেন, ‘আমরা উন্নয়নের বিকল্প মডেল তৈরি করেছি। এর ফলে গরিব মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন। তাঁরা ফের আমাদের ভোট দেবেন।’
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দে বলেছেন, ‘বাম দলগুলির নেতারা আদর্শচ্যুত হয়েছেন। তাঁরা স্বজন-পোষণ এবং বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শন করছেন। এর ফলেই রাজ্যে বিজেপি-র বাড়বাড়ন্ত। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সৎ হতে পারেন, কিন্তু তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেননি।’
ত্রিপুরায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে বামফ্রন্ট। এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। ফল ঘোষিত হবে ৩ মার্চ। বর্তমানে বামফ্রন্টের বিধায়ক সংখ্যা ৫১। বিজেপি-র সাতজন ও কংগ্রেসের দু’জন বিধায়ক আছেন।