নয়াদিল্লি: দোষী সাব্যস্ত হলে অন্তত ৫ বছরের কারাবাস হতে পারে, এমন অভিযোগে ভোটের কমপক্ষে ৬ মাস আগে চার্জ গঠিত হলে অভিযুক্তদের ভোটে লড়া বন্ধ করতে আইন সংশোধন করা হোক। কেন্দ্রকে তারা এমনই প্রস্তাব দিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন।
রাজনীতির অপরাধকরণ রুখতে তারা ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ করেছে, বেশ কিছু প্রস্তাবও দিয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তবে কমিশনের বক্তব্য, রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে আরও ব্যবস্থা নিতে হলে আইনে সংশোধন করতে হবে, যা তাদের সাধ্যের বাইরে।
বিষয়টি আগামীকাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির তালিকায় রাখা হয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা, তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ন্ত্রণ, বাতিলের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারির ক্ষমতা দিতে হবে কমিশনকে। ১৯৯৮ সাল থেকেই কমিশন রাজনীতির অপরাধকরণের বিষয়টি তুলছে, সে বছরের ১৫ জুলাই এব্যাপারে কেন্দ্রকে তারা প্রস্তাবও পাঠিয়েছিল, ২০০৪ এর জুলাই, ২০১৬-র ডিসেম্বরে নির্বাচনী সংস্কারের যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতেও এর পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
কমিশন ফের বলছে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে অপরাধ দুনিয়ার প্রভাব থেকে শুদ্ধ করতে, আইনসভার পবিত্রতা রক্ষা করতে সুদূরপ্রসারী ফল দেবে।
কমিশনের মত, অপরাধ দুনিয়ার সংশ্রব থাকা লোকেরা, মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্তরা ভোটে প্রার্থী হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কেই নেতিবাচক বার্তা যাবে।
ওই হলফনামা দেওয়া হয় অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় নামে জনৈক আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, দোষী সাব্যস্ত লোকজনকে রাজনৈতিক দল গঠন করা থেকে বিরত রাখতে হবে, তারা যেন সেই দলের কর্মকর্তা না থাকে।
কমিশন ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের নানা ধারার উল্লেখ করে জানায়, রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রি বাতিলের ব্যাপারে আইনে তাদের হাতে স্পষ্ট কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।