পাকিস্তান সীমান্তে বাজছে যুদ্ধের দামামা। চিনের সঙ্গে সম্পর্কেও চলছে টানাপোড়েন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বরফে ঢাকা পর্বতচূড়া পাহারা দেওয়া সেনা জওয়ানদের সঙ্গে পালন করলেন দীপাবলী উৎসব। কিন্নরে আইটিবিপি, ভারতীয় সেনা ও ডোগরা স্কাউটসের জওয়ানদের সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের প্লেটে নিজের হাতে তুলে দেন দীপাবলীর মিষ্টি।
পূর্বনির্ধারিত না হলেও সোমডু এলাকার কাছে চাঙ্গো গ্রামে আচমকা থামে তাঁর কনভয়। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বিনিময় করেন দীপাবলীর শুভেচ্ছা।
প্রধানমন্ত্রী জওয়ানদের বলেন, “সকলে চায়, প্রিয় মানুষের সঙ্গে দীপাবলী কাটাতে। তাই আপনাদের কাছে এসেছি আমি”। মোদীর কথায়, গুজরাটে ভূমিকম্পের বছরে তিনি দীপাবলী উদযাপন করেন দুর্গত পরিবারদের সঙ্গে। তাই জওয়ানরা যেন না ভাবেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী বলেই তাঁদের কাছে এসেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কোটি কোটি মানুষ জওয়ানদের সম্মানে দীপাবলীর প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, কৃষক-সব ধরনের মানুষ যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রের উদ্যোগ #সন্দেশটুসোলজার্সে। তিনি বলেন, যখনই সেনাবাহিনীর কাছে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে, তখনই দেশবাসীকে গর্বিত করেছে তারা।
সেনাবাহিনীর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে প্রথম জনসভায় তাঁকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তকমা দেওয়া হয়, তাতে রেওয়ারির প্রাক্তন সেনাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ক্ষমতায় আসার আগেই তিনি এক পদ, এক পেনশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রেখেছেন। অথচ সে সময় যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদের এ ব্যাপারে কোনও ধারণাই ছিল না।