চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেন ও বাহরিনে জনসাধারণকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করছে ফাইজার। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন জনসাধারণকে দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রিটেন।
কিন্তু তাদের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য অতি নিম্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন থাকায় ভারতের বাজারে আসার সম্ভাবনা কার্যত ছিল না। কারণ, ফাইজারে প্রতিষেধক সংরক্ষণে প্রয়োজন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রা।
যে তাপমাত্রার কোল্ড স্টোরেজ নেই দেশে। তাই ফাইজারের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে হাল ছেড়েছিলেন অনেক ভারতীয়ই। কিন্তু কার্যত সবাইকে চমকে দিয়ে শেষপর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পেরিয়ে সরাসরি প্রতিষেধক মানবদেহে প্রয়োগ করার বিষয়ে ছাড়পত্র চেয়েছে তারা।
কিন্তু ঠিক কীভাবে অতি নিম্ন তাপমাত্রা বজায় রেখে তারা প্রতিষেধক কার্যকর রাখবে, সে নিয়ে মুখ খোলেনি সংস্থা। শুধু তাদের দাবি, সরকারের সাহায্য নিয়ে যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর তারা।
জানা যাচ্ছে, ৪ ডিসেম্বর ডিসিজিআই-এর কাছে আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্র চেয়েছে ফাইজার। ভারতের বাজারে সাধারণত কোনও প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে তাদের পেরোতে হয় শেষ পর্বের ট্রায়াল প্রক্রিয়া।
দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন আপাতত সেই পর্যায়েই। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া পর্ব সরিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে সরাসরি ভ্যাকসিনকে বাজারজাত করতে ছাড় দেওয়ার নিয়মও রয়েছে।
দিনদুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদল বৈঠকের মাঝে বলেছিলেন, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের বাজারে চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন। বেশ কয়েকটি প্রতিষেধক একেবারে শেষপর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আপাতত শুধু বৈজ্ঞানিকদের সবুজ সংকেত পেলেই ভারতে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।