নয়াদিল্লি: শুধু ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) বা জাতীয় প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আগামী ২০২১-২২ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে প্রার্থীদের পিএইচডি ডিগ্রিও। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।


বর্তমানে, পিএইচডি ডিগ্রিধারী অথবা মাস্টার্সের সঙ্গে নেট-উত্তীর্ণ—উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সহকারি অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে, এই নিয়মে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র।


এদিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নতুন নিয়মাবলি খোলসা করতে গিয়ে জাভড়েকর বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণমান বৃদ্ধি এবং দেশের সেরা মেধা ও দক্ষতাকে আকৃষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


মন্ত্রী জানান, এখন থেকে বিদেশ থেকে (বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকাভুক্ত) পিএইচি সম্পন্ন করলে সেই প্রার্থীও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে, তেমন সংস্থান নেই।


তিনি একইসঙ্গে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হলেও, কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর (এপিআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে শর্ত ছিল—কলেজ শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক গবেষণারত হতে হবে।


জাভড়েকর জানান, অনেকেই এই শর্তের বিরোধিতা করেন। তাঁদের দাবি, গবেষণার সঙ্গে শিক্ষকতা করা প্রচণ্ড চাপসৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই শর্ত প্রত্যাহার করার ফলে, এখন কলেজের শিক্ষকরা পড়ানোর ওপর মনোযোগ দিতে পারবেন।


তবে তিনি একইসঙ্গে যোগ করেন, কোনও শিক্ষক যদি দুটি-ই নিজ উদ্যোগে একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে তাঁর পদোন্নতি ত্বরাণ্বিত হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, আগের মতোই কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডি অথবা মাস্টার্স সহ নেট-উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে।