নয়াদিল্লি: করোনা সাধারণ মানুষকে যতটা না অতিষ্ঠ করে তুলেছে, তার থেকে কিছু কম করছে না করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত কলার টিউন। অমিতাভ বচ্চন আমাদের যতই প্রিয় হন, দরকারি ফোন করার সময় তাঁর মেঘমন্দ্র গলায় মিনিট দেড়েকের ওই কলার টিউনটি সকলকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এবার দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হল ওই টিউনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা। দাবি, করোনা থাকুক বা যাক, সচেতনতা টিউন এখনই সরাতে হবে।


পিটিশনটি করেছেন রাকেশ, জনৈক সমাজ কর্মী। তাঁর বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন, তিনি বলছেন, করোনা সচেতনতা কলার টিউনে অমিতাভ বচ্চনকে বেছে নিয়ে ভুল করেছে ভারত সরকার। তারা অমিতাভের মত একজন নামী অভিনেতাকে এ জন্য কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে অথচ যাঁরা প্রকৃত করোনা যোদ্ধা তাঁদের উপেক্ষা করছে। অথচ তাঁরাই এই সঙ্কটের মুহূর্তে খাবার, পোশাক ও আশ্রয় নিয়ে গরিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আজ দিল্লি হাইকোর্টের ২ বিচারপতি ডিএন প্যাটেল ও জ্যোতি সিংহের এজলাসে কলার টিউন সংক্রান্ত এই মামলাটির শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শুনানি ১৮ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে।

পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, এমন করোনা যোদ্ধাও আছেন, যাঁরা এই করোনা কালে তাঁদের কষ্টার্জিত উপার্জন গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন। কোনও সাম্মানিকের অপেক্ষা না করেই এঁরা মানুষের পাশে দাঁড়ান, এভাবেই সমাজ সেবার মাধ্যমে দেশের হয়ে কাজ করছেন এঁরা। অথচ অমিতাভের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার বহু অভিযোগ রয়েছে, তাঁর পুরনো ইতিহাস পুরোপুরি পরিষ্কার নয়, তাঁর কণ্ঠস্বর সম্বলিত এই কলার টিউন ব্যবহার করতে দিয়ে কোনও সমাজ সেবা করছেন না তিনি।  এ জন্য তিনি রীতিমত টাকা নিচ্ছেন, তাই এ ধরনের কলার টিউনে তাঁর গলা ব্যবহার করা হবে কেন।

গত ২৪ নভেম্বর বিবাদী পক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন রাকেশ। কিন্তু বিবাদী পক্ষ কোনও সাড়াশব্দ করেননি এ বিষয়ে। পিটিশনে বলা হয়েছে।