৯২ বছরের ভি এস অচ্যুতানন্দনকে পিছনে ফেলে সরকারের নেতা বাছাই হয়েছেন এই সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য। তিনি রাজ্যের ১২-তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন। তাঁকে এদিনই নিজের ফেসবুক পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন অচ্যুতানন্দন। গতকালই নিজের অগ্রাধিকার কী হবে, তা জানিয়েছিলেন বিজয়ন। বলেছিলেন, বাম সরকারের মন্ত্রীরা যেন ক্ষমতায় এসেই নিজেদের বাড়িঘরকে অট্টালিকায় পরিণত না করেন। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ঘরবাড়ি সংস্কার, রং করা যেতেই পারে। কিন্তু তার বাইরে যেন বাড়িঘরকে ঝাঁ চকচকে চেহারা না দেন। অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ রাখতে হবে। জনগণের কথা মাথায় রেখে চলবেন তাঁরা, বিজয়নের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে অচ্যুতানন্দন বলেছেন, শুভ সূচনা। সরকারের অগ্রাধিকারের ব্যাপারে বিজয়নের বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। মানুষের সমর্থন নিয়ে বিজয়ন ও তাঁর সতীর্থরা এক সমৃদ্ধ কেরল গড়ে তুলতে পারবেন, এই আশা রাখছি।
এদিন শপথ নিয়েই বিজয়ন ঘোষণা করেন, সম্প্রতি রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া দলিত আইনের ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনে নতুন তদন্ত দল তৈরি হবে। তার মাথায় থাকবেন এডিজিপি সন্ধ্যা।
বিজয়নকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে কেরলকে সোমালিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বামেদের তীব্র নিন্দা শুনতে হয়েছিল মোদীকে। কিন্তু বিজয়ন কেরলের ভার নেওয়ার পর সেই পর্ব পিছনে ফেলে ট্যুইটে মোদী লিখেছেন, পিনারাই বিজয়ন ও তাঁর টিমকে অভিনন্দন। কেন্দ্র কেরলের অগ্রগতির স্বার্থে নতুন শপথ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করতে চায়।
এদিন গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া বিজয়নের মন্ত্রিসভায় যে ১৯ জন এসেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন সিপিএমের ১২ জন, সিপিআইয়ের চারজন, এনসিপি, জনতা দল (এস) ও কংগ্রেস (এস)-এর একজন করে। ১৩টি নতুন মুখ। দুজন মহিলা।
বিজয়ন সরকারের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে কেরলজুড়ে তীব্র উদ্দীপনা ছড়ায় বাম কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে। লাল সেলাম স্লোগান দিয়ে, লাল পতাকা উড়িয়ে খুশিতে মেতে ওঠেন তাঁরা।