নয়াদিল্লি: কোভিড মোকাবিলায় পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে পাঁচ দিনে ৩,০৭৬ কোটি টাকা অনুদান এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা একটি অডিট রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়েছে। ২০২০ অর্থবর্ষের এই বিবৃতিতে শুধুমাত্র (তহবিল গঠনের দিন ) ২৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুদানের কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩,০৭৬ কোটি টাকা এসেছে দেশের অভ্যন্তরের স্বেচ্ছা অনুদান থেকে। বাকি ৩৯.৬৭ লক্ষ টাকা বিদেশী অনুদান। পিএম-কেয়ার্সের প্রাথমিক তহবিল ছিল ২.২৫ লক্ষ টাকা। তহবিলে সুদ মিলেছে ৩৫ লক্ষ টাকার মতো।
এই অডিট বিবৃতিতে পিএম-কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। যদিও বিবৃতিতে ‘অ্যাকম্পানিইং নোটস ১ থেকে ৬’ প্রকাশ করা হয়নি। এর অর্থ দেশি ও বিদেশি অনুদানকারী ও দাতাদের বিস্তারিত সরকার প্রকাশ করেনি। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ট্যুইট করে তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা মুক্ত হস্তে দান করেছেন তাঁদের নাম কেন জানানো হল না। তাঁর প্রশ্ন-কেন? প্রত্যেক এনজিও ও ট্রাস্টকে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি দাতাদের নাম প্রকাশ করতে হয়। পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে এই বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল কেন।
প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার ট্যুইট- ‘দানগ্রহিতা পরিচিত। দান গ্রাহক ট্রাস্টিও পরিচিত। তাহলে দাতাদের নাম প্রকাশে ট্রাস্টির ভয় কেন?’
করোনাভাইরাস অতিমারীর মতো জরুরি ও সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম-কেয়ার্স বা প্রাইম মিনিস্টারস সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এজার্জেন্সি সিচুয়েশন ফান্ড গঠন করেন। এই ফান্ড একটি ট্রাস্ট পরিচালিত। এর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী এবং ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছেন শীর্ষ স্তরের ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা।
গত ১৮ অগাস্ট পিএম কেয়ার্স ফাম্ডের অর্থ জাতীয় আপতকালীন ত্রাণ তহবিল (এনডিআরএফ)-এ হস্তান্তরিত করার নির্দেশ দানের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।