নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ৯ কোটি কৃষকের জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। এই অর্থ এমন একটা সময়ে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পড়বে যখন গত সেপ্টেম্বরে সংসদে অনুমোদিত কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার সংক্রান্ত তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রতি বছর ছয় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পিএম কিষাণ যোজনা অনুযায়ী, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি চার মাস অন্তর ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন মোদি। পাল্টা রাজনৈতিক স্বার্থে অসহযোগিতা করছে কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দিয়ে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখন দেখে নেওয়া যাক, এই প্রকল্প সম্পর্কে, যে প্রকল্প সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে অর্থ ট্রান্সফার হয়।
পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ২০১৯-র ফেব্রুয়ারিতে। এর লক্ষ্য, দেশের কৃষকদের সাহায্য। যাতে তাঁরা সংসারের প্রয়োজনের সঙ্গে কৃষি সংক্রান্ত ব্যাপারে এই অর্থ কাজে লাগাতে পারেন।
এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর সরাসরি চার মাস অন্তর দু হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে বছরে মোট ৬ হাজার টাকা।
এই প্রকল্প বাস্তবিকভাবে চালু হওয়ার সময় ২০১৮-র ডিসেম্বর। যোগ্য সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকদের কাট-অফ তালিকা ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে জারি করা হয়।
পিএম কিষাণ নিধি যোজনারও আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকদের চিহ্নিতকরণ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত সরকার ও প্রশাসন করে। এই প্রকল্পের জন্য এক্সক্লুসিভ ওয়েবপোর্টাল www.pmkisan.gov.in লঞ্চ করা হয়েছিল।
শুরুতে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ছোট ও প্রান্তিক কৃষক, যাঁদের ২ একর পর্যন্ত চাষযোগ্য জমি রয়েছে, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতাধীন ছিলেন। পরে এর সীমা বাড়িয়ে ২০১৯-এর ১ জুন সমস্ত কৃষককেই এর অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
গত অর্থবর্ষে করদাতাদের এই প্রকল্পের আওতামুক্ত করা হয়। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল. চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মতো পেশাদার ও পেনশনপ্রাপক, যাঁরা কমপক্ষে মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পান, তাঁদের এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়।