বারাণসী: উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে প্রচারের শেষ দিনেও ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের শেষ জনসভায় মোদী ভোটারদের আবেদন জানান সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস জোট ও বহুজন সমাজ পার্টিকে হারানোর আবেদন করেন।


সোমবার বারাণসী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রোহানিয়া বিধানসভার খুশিপুরে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব করা এবং পুলিশে পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।


এদিন নিজেকে দরিদ্র বলে উল্লেখ করে মোদী জানান, তিনি গরিবদের দুঃখ দূর করতে দায়বদ্ধ। তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে দেশের প্রত্যেক গরিব পরিবার নিজের বাড়িতে থাকতে পারবে।


মোদীর বক্তব্যের অনেকটা অংশ জুড়েই ছিলেন কৃষকরা। গরিব ও কৃষক শ্রেণির জন্য কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্যোগের হিসেব দেন তিনি। পাশাপাশি, দুর্নীতি প্রশ্নে অখিলেশ প্রশাসনকে একহাত নেন। বলেন, একদিকে কেন্দ্র কৃষকদের জন্য ভাবছে, সেখানে রাজ্য প্রশাসন একেবারেই উদাসীন। শুধু অখিলেশ নন, মায়াবতীকেও কটাক্ষ করেন মোদী। প্রসঙ্গে তিনি দুজনকে ‘পিসি-ভাইপো’ বলে উল্লেখ করেন।


মোদীর নির্বাচনী বক্তৃতায় আপনা দল-নিয়ে অনেক কথা ছিল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম শরিক এই দল। মূলত, কুর্মী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দলটি জনপ্রিয়। দলের নেতা ওমপ্রকাশ রাজভর একসময় মায়াবতীর বিএসপি-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।


এর আগে, এদিন মোদী প্রথমে যান গড়বাঘাট আশ্রমে। প্রসঙ্গত, এই আশ্রমটি ভক্তি ঐতিহ্যের একটি সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত। সেখানে গিয়ে নিজের হাতে কয়েকটি গরুকে খাবার দেন। এরপর রোড শো করে যান রামনগরে।


সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বাসভবনে যান মোদী। প্রার্থনা সঙ্গীতের পর তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিতে মালা দেন। এরপর রোড শো করেন মোদী। তাঁর এই রোড শো ঘিরে জনজোয়ারের ছবি দেখা যায়।


এই নিয়ে পর পর তিনদিন উত্তরপ্রদেশে প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তম দফার ভোটের আগে আজই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের প্রচার শেষ দিন। বুধবার উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার ভোটগ্রহণ চল্লিশটি কেন্দ্রে। সাতটি জেলার মানুষ সেদিন ভোট দেবেন। যার মধ্যে অন্যতম বারাণসী। ফলাফল বের হবে ১১ তারিখ।