চন্ডীগড়ের প্রতীক কানওয়াল নামে ওই পড়ুয়ার লেখা চিঠিটি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। হার্ভার্ডে পাবলিক পলিসির ওপর মাস্টার্স পড়ুয়া প্রতীক লিখেছেন, ভারতের মতো বৈচিত্র্যে ভরা দেশে উন্নতি করতে গেলে এমন লোকজনের সাহায্য চাই, যাঁরা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করতে পারেন। অর্থনীতিবিদ ও ভরসাযোগ্য, নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হলে গোটা বিশ্ব থেকে আমরা কেবল বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়ব।
নিজেকে 'কঠোর পরিশ্রমী জাতীয়তাবাদী' বলে দাবি করে প্রতীক বলেছেন, আমরা প্রমাণ-নির্ভর দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। এই পদ্ধতি এমনভাবে পলিসি তৈরি ও রূপায়ণে সাহায্য করে যাতে বিমুদ্রাকরণের মতো বিপর্যয় এড়ানো যায়।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরতে চাওয়া তাঁর মতো ভারতীয়দের নিরুত্সাহী করবে বলে অভিমত জানিয়েছেন প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরও লিখেছেন, আপনি উত্তরপ্রদেশে যখন ওই মন্তব্য করছেন, তখন হার্ভার্ডে আমাদের সামনে ভাষণ দিয়ে পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের আপনার সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ডাক দিয়েছিলেন।
হার্ভার্ডের প্রাক্তনীরাও মোদী মন্ত্রিসভা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন বলে দাবি করেন প্রতীক।