নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি হার্ভার্ড পড়ুয়ার। প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী জনসভায় সর্বশেষ জিডিপি সংক্রান্ত তথ্যকে অস্ত্র করে নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ করেন। অমর্ত্য, মনমোহন-দুজনেই মোদীর নোট বাতিলের ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার মার খেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। মোদী বলেছিলেন, কেউ হার্ভার্ডের, কেউ আবার অক্সফোর্ডের--বড় বড় সব অর্থনীতিবিদ। কেউ বলেছিলেন, নোট বাতিলের ধাক্কায় জিডিপি ২ শতাংশ কমবে, কেউ বলেছিলেন ৪ শতাংশ মার খাবে। কিন্তু হার্ভার্ডের লোকেরা কী ভাবেন, আর কঠোর পরিশ্রমী মানুষজন কী মনে করেন, তা তো দেখাই যাচ্ছে!


চন্ডীগড়ের প্রতীক কানওয়াল নামে ওই পড়ুয়ার লেখা চিঠিটি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। হার্ভার্ডে পাবলিক পলিসির ওপর মাস্টার্স পড়ুয়া প্রতীক লিখেছেন, ভারতের মতো বৈচিত্র্যে ভরা দেশে উন্নতি করতে গেলে এমন লোকজনের সাহায্য চাই, যাঁরা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করতে পারেন। অর্থনীতিবিদ ও ভরসাযোগ্য, নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হলে গোটা বিশ্ব থেকে আমরা কেবল বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়ব।

নিজেকে 'কঠোর পরিশ্রমী জাতীয়তাবাদী' বলে দাবি করে প্রতীক বলেছেন, আমরা প্রমাণ-নির্ভর দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। এই পদ্ধতি এমনভাবে পলিসি তৈরি ও রূপায়ণে সাহায্য করে যাতে বিমুদ্রাকরণের মতো বিপর্যয় এড়ানো যায়।

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরতে চাওয়া তাঁর মতো ভারতীয়দের নিরুত্সাহী করবে বলে অভিমত জানিয়েছেন প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরও লিখেছেন, আপনি উত্তরপ্রদেশে যখন ওই মন্তব্য করছেন, তখন হার্ভার্ডে আমাদের সামনে ভাষণ দিয়ে পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের আপনার সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ডাক দিয়েছিলেন।

হার্ভার্ডের প্রাক্তনীরাও মোদী মন্ত্রিসভা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন বলে দাবি করেন প্রতীক।