নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার বললেন, আমেরিকার সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে অন্তত ‘ভালো’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি লিটফেস্টে ‘ফ্রম বিহার টু তিহাড়’ সম্পর্কে একটি আলোচনাচক্রে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর মতভেদ রয়েছে। তারপরও বলতে হয় যে মোদী ট্রাম্পের চাইতে ভালো।সারা বিশ্বজুড়েই কর্তৃত্ববাদী মানসিকতার বাড়বাড়ন্ত ঘটছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে অনুপ্রবেশকারী ও মহিলাদের সম্পর্কে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে তা নজিরবিহীন।

উল্লেখ্য, এই কানহাইয়ার বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদ-বিরোধী স্লোগান তোলার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

প্রখ্যাত আফ্রো-মার্কিন নেতা মার্টিন লুথার কিং-কে উদ্ধৃত করে কানহাইয়া বলেছেন, খারাপ লোকের শক্তিশালী বলে চিত্কার করে না। তাদের এত শোরগোলের কারণ ভালো লোকেদের নীরব থাকা।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জেএনইউ-র ছাত্র নাজিব আহমেদ। এ ব্যাপারে কানহাইয়া বলেছেন, নাজিবকে খুঁজতে কাজের কাজ কিছুই করছে না পুলিশ।অন্য কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। এমনটা ঘটার কারণ, সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো কোনও শক্তিশালী বিরোধী নেই। আর এই কারণেই জেএনইউ-তে দেশ-বিরোধী স্লোগান, নাজিবের নিখোঁজ হওয়া এবং দাদরি হত্যাকাণ্ডের মতো বিষয়গুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উদাহরণ দিতে গিয়ে কানহাইয়া বলেছেন, দাদরির ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে পিটিয়ে খুনের থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে গোমাংস ছিল কিনা। জেএনইউ-র দেশ-বিরোধী স্লোগান মামলায় ভিডিও ফুটেজ আসল, না বিকৃতি, তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছে। তেমনি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, রোহিত দলিত ছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে। এভাবেই মূল বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কানহাইয়া মন্তব্য করেছেন।

কানহাইয়ার প্রশ্ন, দেশ-বিরোধী স্লোগান মামলায় সরকার যদি এতটাই গুরুত্ব দেয়, তাহলে নয় মাস পরেও কেন চার্জশিট দায়ের করা হল না।