ফোনটা এসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর থেকে। নিজের দফতরে বৈঠক চলাকালেই ওই ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার উত্তর ত্রিপুরার জেলা শাসক সন্দীপ মহাত্মেকে ফোন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়িও।
গত ২৬ জুলাই রাতে ওই ফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, রাতে এই সময়ে আপনাকে বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা করবেন..শুধু জানতে চাই যে, অসম ও ত্রিপুরার মধ্যে সংযোগকারী এনএইচ ৪৪-এর ১০ কিলোমিটারের মেরামতির কাজ এখনও বাকি রয়েছে কেন?
জেলা শাসক বললেন, স্যার, কাজ চলছে। কিন্তু লোকবল আর পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে..কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ সেরে ফেলব।
মোদী বলেন- আপনি হাইওয়ের কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা করুন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে যা সাহায্যে চাওয়া হবে তাই-ই দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সড়ক ৪৪ ত্রিপুরার লাইফলাইন। কিন্তু প্রবল বর্ষণে এই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। জ্বালানি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এই পথ দিয়েই ত্রিপুরাতে আসে। বৃষ্টির জন্য এই সড়কের ১৫ কিমি রাস্তা কার্যত যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। এরফলে অসম থেকে পেট্রোল ও ডিজেলবাহী গাড়ি ত্রিপুরাতে আসতে পারছিল না। প্রায় একমাস একের পর এক ট্রাক হাইওয়েতেই আটকে পড়ে। এর ফলে ত্রিপুরাতে পেট্রোলের দাম লিটারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠক চলাকালেই জেলা শাসককে ফোন করা হয়।
জেলাশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পরদিন থেকেই হাইওয়ের ওই বেহাল অংশের চেহারা বদলাতে শুরু করে। প্রায় ১০ টি জেসিবি মেশিন হাইওয়েতে পৌঁছে যায়। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় হাইওয়ে সারাইয়ের কাজ শুরু হয়। ৬ দিনের মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ হয়ে যায়।
এরপর পর নীতীন গড়কড়ি জেলাশাসককে ফোন করে ধন্যবাদ জানান।