নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা ও নিয়ন্ত্রণ রেখার পরস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে পর্যালোচনা করতে পারেন। আজ বিকেলে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে মোদী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে সেনা অভিযানের দিন রাতভর জেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি মুহূর্তের খবর নিয়েছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের তদারকিতে চারঘণ্টার সফল  অপারেশন শেষে ভারতীয় কম্যান্ডোরা ফিরে আসার পরে, নিশ্চিন্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা পাকিস্তান অস্বীকার করেছে।যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। বুধবার গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আচমকা অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ফিরে আসে নিজেদের ব্যারাকে।  সেনার স্পেশ্যাল ফোর্সের প্যারা কম্যান্ডোদের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক-এ অন্তত ৪০ জন জঙ্গি এবং দুই পাক সেনা জওয়ান নিহত হয়েছে। ভারতীয় জওয়ানদের কেউ হতাহত হননি বলেই জানিয়েছে সেনা।
এদিকে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর শ্রীনগরে ফের কার্ফু জারি। শুনসান রাস্তায় চলছে সেনার টহলদারি। সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি করে দেওয়া হচ্ছে সীমান্তের সবকটি গ্রাম। নওগাম সেক্টরে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বিধ্বস্ত জঙ্গি ঘাঁটিতে পাক সেনার স্পেশ্যাল অ্যাকশন গ্রুপের পৌঁছনোর খবর পাওয়া গিয়েছে। সীমান্তের ওপারে তত্পরতা বেড়েছে পাক রেঞ্জার্সের। পাল্টা হামলা রুখতে তৈরি ভারত। সীমান্ত এলাকায় চলছে জোরদার তল্লাশি। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ ও সেনাবাহিনী। খালি করা হচ্ছে পঞ্জাব সীমান্তের ভিতরে এক হাজার গ্রাম। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা গ্রাম খালি করেও নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।