তিনি গৌরীর মৃত্যুর নিন্দায় যাঁরা সরব হয়েছেন তাঁদেরকেও গালিগালাজ করেছেন।
গৌরীকে খুনের ঘটনার পর ট্যুইটারে নিন্দায় মুখর হন নেটিজেনরা। তাঁদের গালিগালাজ করে তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে নিখিল দধিচ নামে ওই ব্যক্তি। ওই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টটি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফলো করেন বলে জানার পর তাঁদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। নেট জগতের বাইরেও এ ব্যাপারে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, বিজেপির শীর্ষস্তরের প্রায় এক ডজন নেতা ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টটি ফলো করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গিরিরাজ সিংহ, শ্রীপদ নায়েক, ভূপেন্দ্র যাদব, সতীশ উপাধ্যায়, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিংহ তোমর, অশ্বিনী উপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারর মতো নেতারা।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে আপত্তিকর ট্যুইটটি ডিলিট করেন নিখিল দধিচ। এরপর আবার কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ ও স্বরাজ অভিযানের যোগেন্দ্র যাদবকে নিশানা করে তিনি সাফাই দেন, তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে গৌরী লঙ্কেশের হত্যার ঘটনার কোনও সম্পর্কই নেই। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করেন বলেই তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এই দাবি করলেও নিখিল দধিচের ট্যুইটার টাইমলাইন কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিতর্কিত ট্যুইট ডিলিট করার আগে ও পরে তাঁর টাইমলাইনে এই ইস্যুতেই একাধিক ট্যুইট রয়েছে।
এমন এক ব্যক্তির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীরও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শুধু প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনাই নয়, আজ সকাল থেকে #BlockNarendraModi টপ ট্রেন্ডিং টপিকসের মধ্য উঠে আসে। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী মোদীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করছেন এবং তার স্ক্রিনশট শেয়ার করছেন।