মুম্বই: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘরের কথা বলছেন, প্রশ্ন শিবসেনার। উদ্ধব ঠাকরের দল নিজস্ব মুখপাত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে বলেছে, মোদীকে মাঝেমধ্যেই এবং সময়মতো মুখ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, বলেছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় মোদী তাঁকে যে উপদেশ দিতেন, এখন সেটা তাঁর বেলায়ও খাটে। মোদী ভক্তরা বাদে বাকি দেশও তাই মনে করে। মনমোহন সিংহ সদুপদেশই দিয়েছেন। মোদী মনমোহনের কথা মতো কখনও সখনও মুখ খুলুন! তবে মনমোহন সিংহ যা বলতেন, তা শুধু অর্ধ সত্য।

শিবসেনা আরও বলেছে, মোদী ভারতে 'মৌনী বাবা', কিন্তু বিদেশে গিয়ে কথা বলেন। দেশে যা সব ঘটছে, তাতে মোদীর এতই অস্বস্তি হয় যে হয়তো ভাবেন, নিজের দেশে মুখ না ভোলাই শ্রেয়।
মোদীকে খোঁচা দিয়ে শিবসেনা বলেছে, লোকে যদি দেখতে চায় মোদী কথা বলছেন, তবে দেশের রাজধানী লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, টোকিও, প্যারিস বা জার্মানিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সিনেমায় এটা হয়। কিন্তু বাস্তবে না হলে বিদেশেই কয়েক সেট রাজধানী বানিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের ধর্ষণ নিয়ে লন্ডনে বলেছেন। এটা ওনার সংবেদনশীল মনের ব্যাপার। উনি আবেগপ্রবণ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ওনার মনে প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে। দেখছি উনি বিদেশে গেলে সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। কিন্তু ধর্ষণের মতো বিষয়ে বিদেশ সফরে কি ওনার কথা বলা ঠিক? দেশের লজ্জার কথা কেন বাইরে বলতে হবে? কেন বিদ্যমান দুর্নীতি, ধর্ষণ, নিরাপত্তাহীনতার ছবি দেখাতে হবে?

জাপান সফরে গিয়ে মোদী ভারতে কালো টাকা, দুর্নীতির কথা বলেছিলেন বলেও উল্লেখ করেছে শিবসেনা।
শিবসেনার মত, আগের জমানার সঙ্গে বিরোধ থাকতেই পারে। কংগ্রেস বা গাঁধী পরিবারকে কেউ একেবারেই পছন্দ না-ই করতে পারেন, কিন্তু বিদেশে গিয়ে ঘরের কথা বলা মোটেই শোভা পায় না।
শিবসেনা আরও কটাক্ষ করেছে, হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী দেশকে লুটে পালিয়েছেন, ব্রিটেনে আশ্রয় পেয়েছেন বিজয় মাল্য। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে দেশ থেকে 'শূন্য হাতে'ই ফিরলেন!