নয়াদিল্লি: ‘ আজ স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে, দেশ তার ঋণ শোধ করছে’ দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণের সূচনা করে বললেন মোদি। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন, টিকা নেওয়া মানে এই নয় যে, মাস্ক পরা বা দূরত্ববিধি ভুলে যাবেন। এছাড়াও মোদি বললেন,

  • আজকের দিনের জন্যই অপেক্ষা ছিল দেশবাসীর

  • করোনার ভ্যাকসিন কবে আসবে, প্রশ্ন ছিল এটাই

  • কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহত্‍ টিকাকরণের সূচনা

  • বৈজ্ঞানিকদের ভ্যাকসিনের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য

  • ওঁরা দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন। ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। এক্ষেত্রে খুব কম সময়ে জোড়া ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। যার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, তিনি আগে পাবেন টিকা। ‘চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিনের প্রথম হকদার। এঁদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ বহন করবে ভারত সরকার।

  •  প্রথম টিকার পর দ্বিতীয় ডোজ কবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে ফোনে।  বিশেষজ্ঞদের মত মেনে দুই ডোজের মধ্যে এক মাস ব্যবধান রাখা হবে। টিকা নিয়েও মাস্ক-দূরত্ববিধি সতর্কতা মেনে চলুন। ভ্যাকসিনের সময়ে করোনার সময়ের মতো ধৈর্য্য রাখুন।  ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে হয়নি।

  • বিশ্বের শতাধিক দেশ আছে, যেখানে জনসংখ্যা ৩ কোটির কম। দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন প্রাপকদের সংখ্যা ৩০ কোটিতে নিয়ে যাব। ভারত ছাড়া আমেরিকা, চিনের জনসংখ্যাই শুধু ৩০ কোটি।  তাই এই টিকাকরণ অভিযান অভূতপূর্ব।

  •  আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভ্যাকসিন নিরাপদ। এ নিয়ে কোনও গুজবে কান দেবেন না।

  • বিশ্বের ৬০ শতাংশ শিশু যে টিকা পায়, তা ভারতেই তৈরি হয়। এই ভ্যাকসিন ভারতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত।

  • করোনা সংক্রমণের সময়ে ভারতে ১টি ল্যাব ছিল। তারপরে আমরা আত্মনির্ভরতার পথে হেঁটেছি।  এই সংক্রমণ মানুষকে একলা করে দিয়েছে। শিশুদের মায়েদের থেকে আলাদা থাকতে হয়েছে।

  • বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে আসতে পারেনি সন্তান। অনেকে প্রিয়জনদের অন্তিম বিদায় পর্যন্ত জানাতে পারেননি।  নিরাশার এই সময়ে কেউ আশার সঞ্চার করছিল।  প্রাণ বিপন্ন করে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী-পুলিশরা লড়ে গিয়েছেন।
    এঁরা কতদিন বাড়ি ফিরতে পারেননি।

  • অনেকে শেষপর্যন্ত আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।  আজ স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে, দেশ তার ঋণ শোধ করছে।  নিজেদের দুর্বলতাকে, শক্তিতে রূপান্তরিত করেছে ভারত।