নয়াদিল্লি: বিরোধীরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকারের আমলে কৃষকদের উন্নতি হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের অগ্রগতি হয়েছে। কেন্দ্রের নতুন কৃষিনীতির পক্ষে জোরালো সওয়াল করার পাশাপাশি মোদি জানালেন, কৃষকদের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাঁর সরকার।
দেশের কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘২০১৪ থেকে আমরা নতুন রণকৌশল নিয়ে কাজ করছি। যৎসামান্য প্রিমিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার সুবিধা চাষিদের। ৮৭ হাজার কোটি টাকা বিমার থেকে পেয়েছেন চাষিরা।’
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা আগেই বলা হয়েছিল। ফসল বেচার জন্য আজ কৃষকরা বিকল্প মান্ডি পাচ্ছেন। অনলাইনে ফসল বেচতে শুরুও করেছেন কৃষকরা।’
মোদি আরও বলেন, ‘আজ কৃষকরা পেয়েছেন পাকা ঘর, শৌচালয়। দিনে ৯০ পয়সায় ৬০ বছরে মিলবে ৩ হাজারের মাসিক পেনশন। ছোট কৃষকরা আরও সহজে ব্যাঙ্ক থেকে পাচ্ছেন ঋণ। নিজেদের ফসল যেখানে খুশি বেচতে পারেন চাষিরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেও আপনারা নিজের ফসল বেচতে পারেন।’
মোদির প্রশ্ন, ‘এত অধিকার পাচ্ছেন কৃষকরা, এতে অন্যায় কি আছে? কেউ বলছেন এমএসপি থাকবে না, কেউ বলছেন মান্ডি বন্ধ হবে। নতুন আইনে কৃষকদের কোনও জরিমানা দিতে হবে না। চুক্তি অনুযায়ী কৃষককে টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন চুক্তিকারীরা।’
মোদি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন হয় ভারতে। সেখানে তো ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই আছেন, অসুবিধা হয়েছে? পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও তো, যেখানে খুশি বেচেন। বলেন, কৃষি ক্ষেত্রেও আমরা সেটাই চাই। কৃষি আন্দোলনের আড়ালে কেন অন্য আন্দোলনে উস্কানি?
কেন হাইওয়েতে টোল আদায়ের বিরোধিতা?’
বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের উল্টোপাল্টা বোঝাবেন না। এই সব দল ও আগের সরকারের জন্য কৃষিতে উন্নতি হয়নি। গরিব কৃষক এদের জন্য আরও গরিব হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘ভুল হলে বাধা না দিয়ে, সরকারের সমালোচনা করুন। অনেক দল আগে যা বলেছে, সে কথা অস্বীকার করছে। কৃষকরা আত্মনির্ভর হলে, তবেই দেশ আত্মনির্ভর হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাঁর আশ্বাস, কোনও জমি নেওয়া হবে না কৃষকদের থেকে। দেশজুড়ে করা হচ্ছে মিথ্যা প্রচার। ভার্চুয়াল কনফারেন্সে নতুন কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।