PM Modi Meeting Live Updates: কবে ভ্যাকসিন আসবে বলা সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এই রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় আচমকা বৃদ্ধি হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের আপৎকালীন অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে এর বন্টন নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন, আগাম ক্রয় ও দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুনিয়াব্যাপী একাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন সংস্থার ভ্য়াকসিন সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা নানা পর্যায়ে রয়েছে। কোনওটি দ্বিতীয় স্তরে তো কোনওটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা, সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রতিরোধী শক্তি তৈরি করতে সক্ষম কিনা, সেব্যাপারে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মেয়াদ কতদিন থাকবে, তাও দেখে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ভারতের বাজারে এলে প্রথম কারা পাবেন, কত দাম হবে, সেই জল্পনাও চলছে। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কথাও স্পষ্ট, এ ব্যাপারে এখনই ভরসা করার মতো সুসংবাদ এখনই আসছে না। আরও অপেক্ষা করতে হবে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দিল্লি, রাজস্থান, রাজস্থান, কেরল, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ সহ আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এই রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় আচমকা বৃদ্ধি হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের আপৎকালীন অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে এর বন্টন নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন, আগাম ক্রয় ও দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সুর চড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের মূল্যায়ণের সঙ্গে যে সহমত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘কোভিডের বিনা পয়সার চিকিৎসাও করতে দেবে না! নাটক করে। শুধু মিথ্যা ভাষণ দেয়, অফিসারদের চমকায়। বাংলার বদনাম করে।’
কোভিড ভ্যাকসিন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বাঁকুড়ায় বলেছেন, ‘‘এই বলছে এখনই টিকা দিয়ে দিচ্ছি! কিন্তু আসতে আসতে ৬ মাস, ৮ মাস পেরিয়ে যাবে। আমরা যদি একটা কোভিড কেসে দেড় লক্ষ-দু’লক্ষ টাকা খরচ করতে পারি, ইঞ্জেকশন আমরাও করতে পারি। আমাদের রাজ্য সরকার তৈরি আছে। কার কাছ থেকে নিতে হবে বলুন। আমরা নিয়ে সব টিকা দিয়ে দেব।’
এভাবে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। কিন্তু, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, আসবে আসবে করে তো মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে,কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসবে কবে? কবে সাধারণ মানুষ তা হাতে পাবে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন,ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সবদিক বিচার বিবেচনা করে দেখছে উচ্চ স্তরের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি।আমাদের এখনকার হিসেব বলছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি মানুষের জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ আমরা হাতে পেয়ে যাব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস কতটা বাস্তবায়িত হয়, তার উত্তর সময়ই দেবে, কিন্তু, এরইমধ্যে দেশের বেশকিছু রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ফের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার দিল্লি,মহারাষ্ট্র,গুজরাত এবং অসম সরকারকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে কী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারগুলি করেছে, তা জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লক্ষ ছুঁইছুঁই!
এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ ৩৩ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে।এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৬২৩ জনের।দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৯১ জনের।গুজরাতে এখনও অবধি মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৫৯ জন।এই প্রেক্ষাপটে সোমবার বিচারপতি অশোক ভূষণ,বিচারপতি আরএস রেড্ডি এবং এম আর শাহের বেঞ্চ কড়া সুরে বলে,মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ডিসেম্বরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য তৈরি হোন। দিল্লিতে নভেম্বরে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।...গুজরাতের পরিস্থিতিও হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রকে দু’দিনের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -