PM Modi Meeting Live Updates: কবে ভ্যাকসিন আসবে বলা সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী

এই রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় আচমকা বৃদ্ধি হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের আপৎকালীন অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে এর বন্টন নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন, আগাম ক্রয় ও দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 24 Nov 2020 02:28 PM
নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকর ভ্যাকসিন কবে মিলতে পারে, তা নিয়ে অন্তহীন জল্পনার মধ্যেই আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও স্পষ্ট বার্তা দিলেন না। তিনি বলেছেন, বৈজ্ঞানিকরা কাজ করে যাচ্ছেন, গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু কবে ভ্যাকসিন আসবে, তা বলা সম্ভব নয়। ভ্যাকসিন আবিষ্কার আমাদের হাতে নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দুনিয়াব্যাপী একাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন সংস্থার ভ্য়াকসিন সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা নানা পর্যায়ে রয়েছে। কোনওটি দ্বিতীয় স্তরে তো কোনওটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা, সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রতিরোধী শক্তি তৈরি করতে সক্ষম কিনা, সেব্যাপারে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মেয়াদ কতদিন থাকবে, তাও দেখে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ভারতের বাজারে এলে প্রথম কারা পাবেন, কত দাম হবে, সেই জল্পনাও চলছে। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কথাও স্পষ্ট, এ ব্যাপারে এখনই ভরসা করার মতো সুসংবাদ এখনই আসছে না। আরও অপেক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা বৈঠকে কেন্দ্র রাজ্যগুলির জন্য পর্যাপ্ত অনুদান দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বকেয়া জিএসটি-র পরিমাণ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা মোকাবিলার প্রতিটি ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য কোভিড মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা। রাজনৈতিক দেখনদারি, সমাবেশের পাল্টা সমাবেশকে এড়াতে হবে বলে ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বৈঠকে বলেছেন, তিনি সিরাম ইনস্টিটিউটের আদর পুনাওয়ালার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।এছাড়াও রাজ্য টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে, যাতে করোনা ভ্যাকসিন এলেই তার সুষ্ঠু বন্টনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা যায়। সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচীর দেখভালও করবে এই টাক্স ফোর্স।
করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের কাজ অনেক ভাল, দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ দুটি পর্যায়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথম পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু কেরল, দিল্লি সহ ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক। যে সমস্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি তাদের নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক মোদির। করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা হবে। দুটি বৈঠকেই উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আটরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক শুরু হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, গত ১০ নভেম্বর দিল্লিতে অতিমারীর থার্ড ওয়েভে সবচেয়ে বেশি ৮৬০০ আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। তারপর থেকে আক্রান্ত ও পজিটিভিটি রেট কমছে। তিনি বলেছেন, করোনার এই থার্ড ওয়েভের অন্যতম কারণ দূষণ। সংলগ্ন রাজ্যগুলির কৃষিজমিতে খড়কুটো জ্বালানোজনিত দূষণের থেকে অব্যাহতির জন্য কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি থার্ড ওয়েব শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত ১০০০ আইসিইউ বেড সংরক্ষিত রাখার আর্জিও জানিয়েছেন।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে  রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দিল্লি, রাজস্থান, রাজস্থান, কেরল, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ সহ আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এই রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় আচমকা বৃদ্ধি হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের আপৎকালীন অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে এর বন্টন নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে কোভিড-১৯  ভ্যাকসিনের অনুমোদন, আগাম ক্রয় ও দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সুর চড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের মূল্যায়ণের সঙ্গে যে  সহমত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘কোভিডের বিনা পয়সার চিকিৎসাও করতে দেবে না! নাটক করে। শুধু মিথ্যা ভাষণ দেয়, অফিসারদের চমকায়। বাংলার বদনাম করে।’

কোভিড ভ্যাকসিন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বাঁকুড়ায় বলেছেন, ‘‘এই বলছে এখনই টিকা দিয়ে দিচ্ছি! কিন্তু আসতে আসতে ৬ মাস, ৮ মাস পেরিয়ে যাবে। আমরা যদি একটা কোভিড কেসে দেড় লক্ষ-দু’লক্ষ টাকা খরচ করতে পারি, ইঞ্জেকশন আমরাও করতে পারি। আমাদের রাজ্য সরকার তৈরি আছে। কার কাছ থেকে নিতে হবে বলুন। আমরা নিয়ে সব টিকা দিয়ে দেব।’

এভাবে মুখ্যমন্ত্রী  বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। কিন্তু, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, আসবে আসবে করে তো মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে,কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসবে কবে? কবে সাধারণ মানুষ তা হাতে পাবে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন,ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সবদিক বিচার বিবেচনা করে দেখছে উচ্চ স্তরের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি।আমাদের এখনকার হিসেব বলছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি মানুষের জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ আমরা হাতে পেয়ে যাব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস কতটা বাস্তবায়িত হয়, তার উত্তর সময়ই দেবে, কিন্তু, এরইমধ্যে দেশের বেশকিছু রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ফের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার দিল্লি,মহারাষ্ট্র,গুজরাত  এবং অসম সরকারকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে কী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারগুলি করেছে, তা জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লক্ষ ছুঁইছুঁই!

এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ ৩৩ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে।এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৬২৩ জনের।দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৯১ জনের।গুজরাতে এখনও অবধি মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৫৯ জন।এই প্রেক্ষাপটে সোমবার বিচারপতি অশোক ভূষণ,বিচারপতি আরএস রেড্ডি এবং এম আর শাহের বেঞ্চ কড়া সুরে বলে,মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ডিসেম্বরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য তৈরি হোন। দিল্লিতে নভেম্বরে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।...গুজরাতের পরিস্থিতিও হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রকে দু’দিনের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.