নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্করায় হাসির রোল উঠল রাজ্যসভায়।
এদিন সংসদের উচ্চকক্ষে যখন বক্তব্য পেশ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন রেণুকা চৌধুরিকে অট্টহাসি হাসতে দেখা যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁকে সতর্ক করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। কংগ্রেস নেত্রীর উদ্দেশে বেঙ্কাইয়া প্রশ্ন করেন, আপনার কী হয়েছে? তিনি জানিয়ে দেন, এধরনের ব্যবহার ও আলটপকা মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না।
কিন্তু এরপরও রেণুকাকে দেখা যায় জোরে জোরে হাসতে। বেঙ্কাইয়া যখন ফের একবার তাঁকে সতর্ক করতে উদ্যত হন, তখন নিজের বক্তব্য থামিয়ে মোদী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন রেণুকাকে কিছু যেন না বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অনুরোধ করছি, ওনাকে (রেণুকা) কিছু বলবেন না। ওনাকে হাসতে দিন। মোদী যোগ করেন, রামায়ণ সিরিয়ালের পর এধরনের হাসি শোনার সৌভাগ্য আজই হল।মোদীর এই মন্তব্য শুনে এবার হাসিতে ফেটে পড়েন বিজেপি সাংসদরা। উল্টোদিকে, চুপ করে যান রেণুকা। পরে সংসদের বাইরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। বলেন, ওনার (মোদী) থেকে কী-ই বা আশা করা যেতে পারে? এটা প্রতিষ্ঠিত যে বিজেপি মহিলাদের বিরুদ্ধে। তিনি যোগ করে বলেন, আসল কথা হল, আমি যখন হাসছিলাম, ওনার গায়ে লাগছিল। কারণ, ওটা সত্যের হাসি ছিল।
রেণুকার এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বলেন, আমি (ঘটনার সময়) সেখানে উপস্থিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি যেভাবে অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছিলেন, তা শুনেছি। যখন তাঁর মন্তব্যের জবাব মস্করার ছলে দেওয়া হল, তিনি তখন মহিলা-পুরুষ লিঙ্গকে হাতিয়ার করছেন।