লালকেল্লা থেকে সারা দেশের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা-বার্তায় মোদী সেই সমস্ত দল এবং গোষ্ঠীকে হুঁশিয়ার করেছেন, যারা বিশ্বাস অর্জনের নামে সারা দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে। আজকের ৫৪ মিনিটের বক্তৃতা পেশের সময় মোদী বিভিন্ন বিষয়কে ছুঁয়ে গেছেন। তারমধ্যে যেমন উঠে এসেছে কালো টাকা প্রসঙ্গ, তেমন উল্লেখ করা হয়েছে নোট বাতিলের কথাও। দুর্নীতিকে সরিয়ে এক নতুন ভারত তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তারসঙ্গে একথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি, দুরন্ত গতিতে তিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছবেন। তাঁর বিশ্বাস সম্প্রতি কেন্দ্র তিন তালাক বিরোধী যে প্রচার শুরু করেছে, সেটাও তার লক্ষ্যে শীঘ্রই পৌঁছে যাবে।
কাশ্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক সময়ের ভূস্বর্গকে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা নিজেদে স্বার্থসিদ্ধির জন্যে হিংসার বাতাবরণে ঘিরে রেখেছে। এধরনের আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও নিজের বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দেন মোদী। তারপর তিনি বলেন, 'গালি নয়, গুলি নয়, একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব'। সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদীদের সম্পর্কে সামান্যতমও নরম মনোভাব নিতে নারাজ তিনি এবং তাঁর সরকার। বরং সন্ত্রাসবাদীদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেপ্রসঙ্গে তিনি মাওবাদীদের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি।
তবে গতবছরের মতো এবারের স্বাধীনতা-বক্তৃতায় পাকিস্তান বা চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে চলা সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কোনও কথা উল্লেখ করেননি মোদী। শুধু একটি কথাই বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত একা লড়ছে না। বহু দেশই ভারতকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে। তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট। সেইসমস্ত দেশের নাম উল্লেখ না করে তাদের সেলাম জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের আভ্যন্তরীণ এবং সীমান্ত সমস্যা সঠিকভাবে সামলানোর জন্যে সেনাবাহিনীকে কুর্ণিশ জানাতে ভোলেননি মোদী। তারপরই তিনি উল্লেখ করেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা। তারপর তিনি বলেন, বিশ্বমঞ্চে ভারতকে সবাই চেনে শান্তি, একতার প্রতীক হিসেবে। দেশের উন্নয়নে জাতি-ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ কোনওভাবেই সাহায্য করবে না বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।