নয়াদিল্লি: আজ ৬৯তম জন্মদিনে মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর জীবনী। বইয়ের সূচনা লিখে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। এক সময়ের ড্রিম গার্লের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তিনি।


হেমা অনুমোদিত এই জীবনীর নাম বিয়ন্ড দ্য ড্রিমগার্ল। এর সূচনায় ভারতীয় সিনেমায় হেমার ৫০ বছরের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হেমা এই সময়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বেশ কয়েক দশক ধরে বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেভাবে তিনি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য জনপ্রিয় করে তুলেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।

মোদী আরও বলেছেন, যেভাবে হেমার প্রথম দিকের লড়াই ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের তলায় জমি খুঁজে পাওয়ার কথা এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে তা তৃপ্তিদায়ক। তিনি বহু বছর ধরে সক্রিয় বিজেপি কর্মী, রাজ্যসভা ও লোকসভা দু’ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর কেন্দ্র মথুরার মানুষের আশা আকাঙ্খা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল। বলেছেন মোদী।

প্রযোজক রামকমল মুখোপাধ্যায় নিখেছেন হেমা মালিনীর এই জীবনী। ১৯৬৮-তে রাজ কপূরের সপনো কা সওদাগর ছবি দিয়ে তাঁর বলিউডে পা রাখা। তারপর সীতা অউর গীতা, শোলে, ড্রিম গার্ল, সাত্তে পে সাত্তার মত ছবি দিয়ে দর্শকের মন জিতে নেন তিনি। পুরুষ শাসিত বলিউডে তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা সুপারস্টার।

২৩টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত বইটিতে হেমার শৈশব, কৈশোর, বলিউডে আসা, অভিনেত্রী হয়ে ওঠা, রোম্যান্স, সহ অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক, বিয়ে, শাহরুখ খানকে দিল আসনা হ্যায় সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে নিয়ে আসা- সব জানা অজানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে তাঁর নৃত্যজীবন, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক সফরও। বলা হয়েছে মেয়ে এষা ও অহনার কথা।