নয়াদিল্লি:  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ আরও একবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। উৎসবের মরশুমের প্রাক্কালে তাঁর এই ভাষণ নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।  এদিনের ভাষণে মোদি বলেছেন, উৎসবের মরশুমে আমাদের ভুলে যাওয়া চলবে না যে, করোনা সংকট এখনও কাটেনি। ভারতে এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তা যাতে কোনওভাবেই বেহাল না হয়। ভারতের সুস্থতার হার বেশি। এক্ষেত্রে আমেরিকা, ব্রাজিল ও ব্রিটেনের মতো দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ভালো। দেশে এখন করোনা আক্রান্তদের জন্য ৯০ লক্ষের বেশি বেড রয়েছে। রয়েছে ১২ হাজার করোনা সেন্টার। ধীরে ধীরে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।

মোদি বলেছেন, লকডাউন উঠলেও মাথায় রাখতে হবে, ভাইরাস কিন্তু এখনও যায়নি। পূর্ণ সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনও গাফিলতি নয়। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এতটুকু ঢিলেমি দিলে চলবে না।

তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে। ভ্যাকসিন এলেই সমস্ত দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী ৬ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এটি ছিল তাঁর সপ্তম ভাষণ। এর আগে ১৯ মার্চ, ২৪ মার্চ, ৩ এপ্রিল, ১৪ এপ্রিল, ১২ মে এবং ৩০ জুন দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকই রয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৭৬ লক্ষের কাছাকাছি। প্রায় ১ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও বিগত কয়েকদিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কমছে। অ্যাকটিভ আক্রান্তর সংখ্যা কমছে। সেইসঙ্গে আনলক প্রক্রিয়া চলছে এবং বাজার, সিনেমা হল, স্কুল, কলেজ খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে চলে এসেছে উৎসবের মরশুম।

এখন নবরাত্রি, দুর্গাপুজো...তারপর ডিসেম্বরে বড়দিন, বর্ষবরণ!

উৎসব মানেই জমায়েত! করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা!

তারওপর শীতেও করোনার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা!

আর উৎসবের ভিড়কে হাতিয়ার করে করোনা যে কী চেহারা নিতে পারে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে কেরলে, মহারাষ্ট্রে।

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী উৎসবের এই মরশুমে সামাজিক দূরত্ব,সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার ও মাস্ক পরার মতো বিধি সতর্কভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উৎসব করুন, কিন্তু নিজেদের সুরক্ষার কথা আগে ভাববেন।