প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে গতকালের বিজ্ঞপ্তিটি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে। তারা নির্দেশ পালন করে সঙ্গে সঙ্গে।
পিএমও বলেছে, কোনটা ভুয়ো খবর, সে ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেবে অবশ্যই প্রেস কাউন্সিল ও ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিএ। সরকারি সূত্রের খবর, সরকারের কোনটা ভুয়ো খবর, কোনটা তা নয়, সে ব্যাপারে মাথা ঘামানো উচিত নয় বলেই মত পিএমও-র।
মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে সম্প্রতি আইন পাশ হয়েছে যে, 'জাল খবর' ছড়ালে দোষী সাংবাদিকের সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল হবে। এ দেশেও ইদানীং নানা প্ল্য়াটফর্মে বিশেষ করে সোস্য়াল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের রমরমা মোকাবিলায় সাংবাদিকদের সরকারি স্বীকৃতির ক্ষেত্রে চলতি গাইডলাইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।
তারই অঙ্গ হিসাবে স্মৃতি ইরানির কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অপরাধে দোষী সাংবাদিকের সরকারি স্বীকৃতি সাময়িক স্থগিত রাখা থেকে পাকাপাকি বাতিলের সুপারিশ করে।তবে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা এর প্রাথমিক লক্ষ্য হলেও সেই পরিধির বাইরে থাকা সাংবাদিকরাও এর নিশানা হতে পারেন বলে আশঙ্কা ছড়ায়।
গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি স্বীকৃতির আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী এজেন্সিগুলি খতিয়ে দেখবে পিসিআই ও এনবিএ-র বেঁধে দেওয়া সাংবাদিকসুলভ আচরণ ও নৈতিকতার বিধি, সম্প্রচারের মাপকাঠি ঠিকঠাক সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা পালন করেছেন কিনা। ওই গাউডলাইনগুলি বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে চলতে হবে তাঁদের। প্রথমবার বিধি ভাঙলে ৬ মাস তিনি সাসপেন্ড থাকবেন, দ্বিতীয়বার ভাঙলে সাসপেনসন হবে এক বছরের। তারপরও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে গেলে তাঁর স্বীকৃতি বরাবরের মতো কেড়ে নেওয়া হবে। যদি ভুয়ো খবরের সংজ্ঞা দেয়নি তারা।
স্মৃতি ইরানি ট্যুইটারে বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে জানিয়েও একইসঙ্গে বলেন, বহু সাংবাদিক, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গাইডলাইন মেনে চলার ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
গতকালই কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, জানতে চান, সরকার কি আসলে অপছন্দের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে চাইছে সাংবাদিকদের?