নয়াদিল্লি ও পটনা: মাওবাদী হামলায় বিহারের ঔরঙ্গাবাদে ১০ সিআরপিএফ কম্যান্ডোর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।


এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, নিহত জওয়ানদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আহত জওয়ানদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। ট্যুইটারে বলা হয়েছে, এই শোকের সময়ে শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শোকজ্ঞাপন করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী, হামলায় শহিদ জওয়ানদের পরিবার-পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন নীতীশ। এর জন্য তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশও দিয়েছেন।

এছাড়া, মাও-অধ্যুষিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ প্রকল্পের আওতায় নিহতদের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকার বিমার বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, হামলায় আহত জওয়ানদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে বিহার প্রশাসন। রাজ্যের পুলিশ প্রধান, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশও দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনার পরই নীতীশকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিহার সরকারকে সবরকম সহায়তার অঙ্গীকার করেছে কেন্দ্র।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করেছেন রাজনাথ। অন্যদিকে, সিআপরি ডিজি কে দূর্গাপ্রসাদকে ঘটনাস্থলে যাওয়ান নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গতকাল গয়া ও ঔরঙ্গাবাদের সীমান্তের কাছে চক্রবাঁধ-ডুমরিনালা জঙ্গলে মাওবাদীদের পাতা আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হন কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ-এর এলিট ১০ কম্যান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেসিলিউট অ্যাকশন (কোবরা) কম্যান্ডো। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৮ জন। পরে হাসপতালে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।

বিস্ফোরণের পর দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ও হয়। জঙ্গলের মধ্যে থেকে জওয়ানদের ওপর এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে প্রায় ২০০ জন মাওবাদী। বাহিনীর পাল্টা হামলায় ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, প্রায় ২২টি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।