জিএসটি-র বর্ষপূর্তি: দুধ, মার্সিডিজে একই হারে কর বসতে পারে না, বললেন মোদী, কংগ্রেসকে কটাক্ষ
Web Desk, ABP Ananda | 01 Jul 2018 04:50 PM (IST)
নয়াদিল্লি: জিএসটি-র বর্ষপূর্তিতে সিঙ্গল ট্যাক্স রেট অর্থাত্ একই হারে করের দাবি খারিজ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্সিডিজ গাড়ি ও আর দুধের ওপর একই কর বসতে পারে না বলে সওয়াল করেন তিনি, বলেন, কংগ্রেসের একটিই হারে অর্থাত্ ১৮ শতাংশ কর বসানোর দাবি মানতে হলে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের কর বেড়ে যাবে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, জিএসটি চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যেই পরোক্ষ করদাতাদের বেস অর্থাত ভিত্তি ৭০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, চেকপোস্টগুলি উঠে গিয়েছে, ১৭ রকমের কর ও ২৩ ধরনের সেস মিশে একটিই কর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়া কর ব্যবসার, যাতে এক্সাইজ ডিউটি, সার্ভিস ট্যাক্সের মতো কেন্দ্রীয় লেভি ও ভ্যাটের মতো রাজ্যের বসানো কর মিশে গিয়েছে, লক্ষ্য হল, অপ্রত্যক্ষ কর সহজ করার পাশাপাশি ইনস্পেক্টর রাজ খতম করা। একাধিক রাজ্য সরকার, বণিক মহল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের ফিডব্যাকের ওপরই জিএসটি তৈরি হয়েছে, এটি এক উদ্ভাবনী ব্যবস্থা। বলেন, মাত্র একটাই করের স্ল্যাব রাখা খুবই সহজ হত। কিন্তু তাতে খাদ্যের ওপর শূন্য শতাংশ হারে কর বসতে পারত না। দুধ আর মার্সিডিজে একই হারে কর বসতে পারে কি? ফলে কংগ্রেসি বন্ধুরা যখন বলেন, জিএসটি-তে একটাই করের হার রাখবেন, তাঁরা এটাই কার্যত বলেন যে, খাদ্যপণ্যের ওপর ১৮ শতাংশ কর বসবে, যা বর্তমানে শূন্য থেকে ৫ শতাংশ। একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে মোট ৬৬ লক্ষ পরোক্ষ করদাতা নথিভুক্ত হয়েছেন। সেখানে জিএসটি চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ৪৮ লক্ষ নতুন সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছে। ৩৫০ কোটি ইনভয়েস প্রসেসড হয়েছে, ১১ কোটি রিটার্ন জমা পড়েছে। জিএসটি জটিল ব্যাপার হলে কি এমনটা হত? দেশব্যাপী সব চেকপোস্ট উঠে গিয়েছে। এতে শুধু ট্রাকচালকদের অমূল্য সময়ই বেঁচে যাচ্ছে না, পরিকাঠামো ক্ষেত্রও চাঙ্গা হচ্ছে, দেশের উত্পাদনশীলতা বাড়ছে। জিএসটি জটিল প্রক্রিয়া হলে কি এটা হত? তিনি এও দাবি করেন, আগে অনেক কর বাইরে থেকে বোঝা যেত না, জিএসটিতে কী কর হচ্ছে, সেটা দেখা যাচ্ছে। সরকার প্রায় ৪০০ ধরনের পণ্যের ওপর কর কমিয়েছে। প্রায় ১৫০ পণ্যের কর শূন্য শতাংশ। অধিকাংশ দৈনন্দিন জরুরি পণ্যের ওপর কর কমেছে। চাল, গম, চিনি, মশলা-যে পণ্যই হোক, মোট কর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমেছে।