নয়াদিল্লি: সমর্থিত, অ-সমর্থিত সূত্রে পাওয়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মনমোহন সিংহ ও তাঁর দলের নেতারা গুজরাত বিধানসভা ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছেন বলে গত বছর দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের (পিএমও)-র এহেন জবাবের পর কংগ্রেস দাবি করল, ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
জনসভায় মোদী বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ারের বাসভবনে নৈশভোজে মনমোহন ও আরও কিছু কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন সেনাপ্রধান দীপক কপূর পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন, যেখানে গুজরাত ভোটের ফল নিয়ে কথা হয়।

কংগ্রেসের তরফে পিএমও-র কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে (পিএমও) জানতে চাওয়া হয়, কীসের ভিত্তিতে এমন দাবি করলেন মোদী?

পিএমওর জবাব উদ্ধৃত করে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রচারের সময় ভাষণ সংক্রান্ত, কোনও রাজনৈতিক বিষয় বা সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নয়। প্রধানমন্ত্রী সমর্থিত, অসমর্থিত, নানা সূত্রেই খবর পেয়ে থাকেন।

একজন নির্বাচিত নেতা হয়ে, সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে ভরসা করে কী করে প্রধানমন্ত্রী এমন অভিযোগ করেন, প্রশ্ন করেন খেরা। বলেন, আপনি নজির দেখালেন। সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু অসমর্থিত সূত্রে খবর নিয়ে অন্য নেতাদের দিকে আঙুল তুলছেন! গোটা দুনিয়ার সামনে ভারতের কী ভাবমূর্তি তুলে ধরলেন, যেখানে একজন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি কথার চুলচেরা ব্যাখ্যা হয়। আমরা আরও ভাল, স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া প্রত্যাশা করি। ওই মন্তব্য খুব খারাপ স্তরের জুমলা। উনি ক্ষমা না চাইলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।
মোদীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন মনমোহনও।

মোদী বিপদে পড়লেই পাকিস্তান, হাফিজ সঈদের নাম টেনে আনা স্বভাবে পরিণত করেছেন, কিন্তু বেকারি, চাষি, ছোট ব্যবসায়ীদের হাল নিয়ে বলতে ভুলে যান বলেও কটাক্ষ করেন খেরা।