ভাগলপুর: বাবা-মায়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া। অভিভাবকদের আন্তরিকতাহীন সম্পর্ক প্রভাব ফেলছে একমাত্র ছেলের জীবনে। পড়াশুনায় তৈরি হচ্ছে বাধা। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি ১৫ বছরের ছেলের। ২ মাস আগে ওই কিশোরের লেখা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার পিএমও থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভাগলপুরের জেলা প্রশাসনকে।


স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করা ওই কিশোরের জন্ম বিহারে। তবে বাবার কর্মস্থলের কারণে এখন ও ঝাড়খণ্ডে থাকে। সেখানেই ওই কিশোরের বাবা রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক।  দেওঘরে তাঁর পোস্টিং। অন্যদিকে, মা পটনার একটি ব্যাঙ্কে সহযোগী ম্যানেজার। ২ জনের সম্পর্কের তিক্ততায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাঁদের একমাত্র সন্তান। উপায় না পেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে সে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে এবং অভিযোগ জানায়, তার ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে কিছু সমাজবিরোধী খুনের হুমকি দিচ্ছে। আর এই হুমকির নেপথ্যে রয়েছেন তারই মা!


কিশোরের দাদু ও কাকা ২ জনই কিশোরের মা-কে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেরও। এই একই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ওই কিশোরের বাবার বিরুদ্ধেও। গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পিএমও। নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্টমহল এবং দোষীদের আইনানুগ শাস্তি দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।