ভুবনেশ্বর: কোনও গাড়ি না পেয়ে স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে দশ কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন দানা মাঝি। সঙ্গে ছিল ১২ বছরের মেয়ে। ওড়িশার কালাহান্ডির আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষটির এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা দেশ। এবার ওড়িশা সরকারের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

বিজেডি মুখপাত্র প্রতাপ কেশরি দেব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী দফতরের থেকে চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। মাইলের পর মাইল এক আদিবাসী মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে স্ত্রীর মৃতদেহ কেন এভাবে নিয়ে যেতে হল, সে সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে পিএমও জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য যেন ওড়িশা সরকার গোপন না করে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যক্ষায় ভুগে কালাহান্ডি জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় দানার স্ত্রী আমাং দেই-এর। দানার অভিযোগ, বার বার বলা সত্বেও দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স দিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে স্ত্রীর দেহ কাঁধে তুলে হাঁটতে শুরু করেন দানা। চোখের জল মুছতে মুছতে সঙ্গী হয় মেয়ে। লোকমুখে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হুলস্থূল পড়ে যায়। ছুটে আসে অ্যাম্বুলেন্স। ততক্ষণে ১০ কিলোমিটার পেরিয়ে এসেছেন মাঝি। ওড়িশা সরকারের ‘মহাপ্রয়াণ’ প্রকল্প আছে। সেখানে আছে মৃত্যুর পর বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়ার সুবিধা। কিন্তু দানা মাঝি তা পাননি।