নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সংক্রান্ত বিতর্ক অবসানে অবশেষে আমআদমি পার্টির (আপ) দাবি উড়িয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দিল, গতকাল বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিএ ডিগ্রি-র যে নথি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে, তা বৈধ, আসল। আপের দাবি, সেগুলি ভুয়ো, জাল।


 

গতকালই আপের অভিযোগ খারিজ করতে আসরে নেমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। মোদীর বিএ, এমএ ডিগ্রির কপি প্রকাশ করে আপের নিন্দা করেন দুজনেই। কিন্তু তারপরও জেটলি, শাহের দেওয়া নথি জাল, তাতে গলদ আছে বলে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন আপ নেতা আশুতোষ। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিকদের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাস জানান, মোদীর স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় পাস করার যাবতীয় নথি তাঁদের হেফাজতে আছে। বাস্তবে এক বছর আগে বিএ পাস করলেও ১৯৭৯ সালকে মোদী উত্তীর্ণ হওয়ার বছর হিসাবে দেখানোর বিষয়টি তেমন কোনও বড় ইস্যুই নয় বলে বোঝাতে চান। মোদীর মার্কশিট ও ডিগ্রির শংসাপত্রে যে অসামঞ্জস্য রয়েছে, তাও ‘সামান্য ব্যাপার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

দাস বলেন, আমরা যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখেছি। তা থেকে এটাই সত্যি হিসাবে উঠে এসেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রিটি আসল। ১৯৭৮ সালে তিনি পরীক্ষায় পাস করেন। তাঁকে ডিগ্রি দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে। মোদীর প্রাপ্ত নম্বর ও মার্কশিটটি টাইপ করা হলেও আপের অভিযোগমতো সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া অন্য ডিগ্রিগুলি হাতে লেখা, কেন এই দু রকম ব্যাপার, প্রশ্ন করা হলে রেজিস্ট্রার বলেন, প্রতিটি বিষয়ে বলা সম্ভব নয়। তবে আমি এটাই নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রিটি আসল। মোদীর মার্কশিট, ডিগ্রির কাগজে কেন দুরকম নাম, জানতে চাওয়া হলে রেজিস্ট্রার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিতেও দুটি মার্কশিটে নামে গন্ডগোল রয়েছে।

 

 

 

আপের একটি দল আশুতোষের নেতৃত্বে মোদীর ডিগ্রি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল। তবে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি কর্তৃপক্ষের কেউ। তাদের আগামীকাল আসতে বলা হয়েছে। পাল্টা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য উড়িয়ে আপের চ্যালেঞ্জ, সাহস থাকলে আপ নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে মোদীর শিক্ষাগত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি দেওয়া হোক।