নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যজনিত কারণে এবং পাসপোর্ট সাসপেন্ড হওয়ার ফলে তাঁর পক্ষে ভারতে ফেরা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন ১২,৬০০ কোটি টাকার পিএবি-প্রতারণা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি।


গত ৭ মার্চ, সিবিআইকে পাঠানো ইমেলে চোকসি তদন্ত প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন। মেহুলের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে যেভাবে আইনকে অপব্যবহার করা হয়েছে, তাতে তাঁর পারিবারিক ভাবমূর্তি ও ব্যবসার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।


গত ৭ মার্চ, চোকসিকে সমন পাঠায় সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, তার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। যদিও গীতাঞ্জলি জেমস-এর কর্ণধারের দাবি, মামলা দায়ের হওয়ার অনেক আগেই তিনি ব্যবসার কাজে বাইরে যান।


সাতপাতার চিঠিতে মেহুল লেখেন, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমার পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁকে এমনভাবে প্রতিপন্ন করা হয়েছে যেন তিনি ‘দেশের জন্য বিপজ্জনক’।


তদন্তকারী সংস্থাকে লেখা ইমেলে মেহুল দাব করেন, আমার পক্ষে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে ফেরা সম্ভব নয়। কেন আমার পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হল, বা কেন আমি ভারতের কাছে বিপজ্জনক— তার যুক্তিসঙ্গত জবাব দিতে পারেনি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।


চোকসি আরও জানান, তিনি নিজের স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তিত। তাঁর আশঙ্কা, ভারতে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হবে না। সরকারি হাসপাতালে তাঁকে রাখা হবে।


তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার জন্য আগামী চার থেকে ছয় মাস তিনি কোথাও যেতে পারবেন না। চোকসি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার একটি কার্ডিয়াক প্রোসিডিওর করা হয়েছে।


এর পাশাপাশি, কিডনির ওপর চাপ পড়ার আশঙ্কায় সেই সময় সবকটি শিরার ওপর তা সম্ভব হয়নি। ফলে, আমার পক্ষে ৪-৬ মাস কোথাও যাত্রা করা সম্ভব নয়।