নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)জালিয়াতিকে 'ইউপিএ-র কেলেঙ্কারি' বলে দাবি বিজেপির। এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পিছনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। কেলেঙ্কারির তথ্য পেয়েও সেদিকে তারা নজর না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে ছিল বলে দাবি বিরোধী দলের।
পাল্টা বিজেপির প্রশ্ন, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক কেন নীরব মোদী ও মেহুল চোকসিকে ঋণ অনুমোদন করেছিল, যেখানে ব্যাঙ্কের ডিরেক্টরদেরই একজন বিরোধিতা করেছিলেন। কে ব্যাঙ্ককে চাপ দিয়েছিল, জানতে চেয়েছে বিজেপি।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শীর্ষ বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকরের দাবি, দিল্লির এক হোটেলে ২০১৩-র ১৩ সেপ্টেম্বর নীরব মোদীর জুয়েলারির প্রদর্শনীতে যান রাহুল গাঁধী, আর পরদিনই এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক তাঁকে ঋণ মঞ্জুর করে, যদিও ব্যাঙ্কেরই অন্যতম ডিরেক্টর দীনেশ দুবে তার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এবার কংগ্রেস এই জালিয়াতির ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে জানাক, দলীয় সভাপতির ওই প্রদর্শনীতে যাওয়ার সঙ্গে লোন অনুমোদনের কী সম্পর্ক।
তখনকার ইউপিএ সরকার ওই লোন মঞ্জুর করতে ব্যাঙ্ককর্তাদের চাপ দিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন জাভরেকর। দাবি করেন, কেন্দ্রের বর্তমান সরকার গোটা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সাফ করার সিদ্ধান্ত নিতেই ওই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। সুতরাং, এটা ইউপিএ-র কেলেঙ্কারি যা বিজেপি সরকারের সতর্কতার ফলে সামনে এল। যাবতীয় অনুতপাদক সম্পদ, অন্যায় ভাবে ভুল লোকজনকে লোন বিতরণ, এসবই ইউপিএ জমানা থেকে আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে।
পুরো ব্যাঙ্কিং সিস্টেমই ইউপিএ আমলে ভেঙে পড়ে, এই কেলেঙ্কারি ২০১১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল, এনডিএ সরকার ব্যাঙ্কিং রীতিনীতি কঠোর করতেই তা বেরিয়ে এল বলে দাবি জাভরেকরের।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব আইন প্রণয়নকারী এজেন্সিকে জোরকদমে তদন্ত চালাতে দিয়েছে। নীরব মোদীর ৫১০০ কোটি টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।