নয়াদিল্লি: সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করলেন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার পিএনবি প্রতারণা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। তাঁর পাল্টা দাবি, অসমর্থনযোগ্য অভিযোগের ফলে তাঁর ব্যবসা ‘আচমকা বন্ধ’ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন সহযোগীরা তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।


১৬ মার্চ সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে চোকসি জানান, শারীরিক অবস্থা, পাসপোর্ট বাতিল ও সংবাদমাধ্যমে বিরূপ খবর প্রকাশের জেরে তদন্তে সহযোগিতা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আমার পাসপোর্ট সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট দফতর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ফলত, আমার পক্ষে দেশে ফেরা সম্ভব নয়।


পিএনবি কাণ্ডে প্রথম এফআইআরে নীরব মোদীর সঙ্গে চোকসিকে সহ-অভিযুক্ত হিসেবে দেখায় সিবিআই। পরে, চোকসি ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি গ্রুপের বিরুদ্ধে পৃথক এফআইআর-ও দায়ের করে তদন্তকারী সংস্থা। গত ১৩ তারিখ ইমেল করে মেহুল চোকসিকে তদন্তে যোগ দিতে বলে সিবিআই।


প্রসঙ্গত, পিএনবি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু করার আগেই বিদেশে পাড়ি দেন নীরব-মেহুলরা। সিবিআইকে লেখা চিঠিতে মেহুল বলেন, আমি বিদেশে আছি। আপনাদের আগের চিঠিতেও জবাব দিয়েছি। তবে, আমি যে ইস্যুগুলি তুলেছি, সেগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে, আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।


মেহুলের দাবি, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে প্রাক্তন ব্যবসায়িক সহযোগীরা। তিনি যোগ করেন, তাঁর ব্যবসা আচমকা বন্ধ হওয়ার ফলে, কর্মী থেকে শুরু করে গ্রাহক, পাওনাদার—সকলেই তাঁর প্রতি শত্রুতা করছে।