নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) প্রতারণা মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তে যোগ দিতে রাজি হলেন না নীরব মোদী। বিদেশে ব্যবসার দেখভাল করতে হচ্ছে, তদন্তে সামিল না হওয়ার এমন কারণ দেখিয়েছেন কোটি কোটি টাকার কারবার করা হিরে ব্যবসায়ী। তবে তাঁর বক্তব্যে অসন্তুষ্ট হতে না পেরে সিবিআই তাঁকে কড়া চিঠি পাঠিয়ে আগামী সপ্তাহে দেখা করতে বলেছে।
এর পাশাপাশি পিএনবি-র অভ্যন্তরীণ মুখ্য অডিটর এম কে শর্মাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেফ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। শর্মা ম্যানেজার পদমর্যাদার সমান অধিকারী ছিলেন। এই প্রথম ব্যাঙ্কের কোনও হিসাব পরীক্ষককে গ্রেফতার করা হল বলে জানিয়েছে সিবিআই।
পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখার সিস্টেমস ও কার্যকলাপ অডিট করে দেখা, সেখানকার খামতিগুলি জোনাল অডিট অফিসে জানানোর দায়িত্ব ছিল শর্মার। প্রসঙ্গত, ওই শাখা থেকেই লেটার্স অব আন্ডারটেকিংস ইস্যু করা হয়েছিল। সিবিআই নীরবের উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি যে দেশে এখন রয়েছেন, সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, যাতে তাঁর দ্রুত ভারতে ফেরার ব্যবস্থা করতে পারে তারা। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যখনই বলা হবে, তখনই একজন অভিযুক্তের তদন্তে যোগ দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। সিবিআই এর আগে নীরবকে তাঁর সরকারি ই মেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাঁর ও তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসির কোম্পানির অনুকূলে মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে জাল লেটার্স অব আন্ডারটেকিংস ও লেটার্স অব ক্রেডিট ইস্যুর মাধ্যমে ১২৬৩৬ কোটি টাকা জালিয়াতির ব্যাপারে তদন্তে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু নীরব জবাব পাঠান, তিনি তদন্তে থাকতে পারছেন না কেননা দেশের বাইরে ব্যবসা ছড়িয়ে আছে, সেসব ছেড়ে ভারতে যাওয়া সম্ভব নয়।
পিএনবি প্রথমে জালিয়াতির পরিমাণ ১১৩৯৪.০২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরে সিবিআইয়ের টিম চোকসির গীতাঞ্জলি গ্রুপ অব কোম্পানিজের পক্ষে ১২৫১ কোটি টাকার নতুন লেটার্স অব আন্ডারটেকিংস ও লেটার্স অব ক্রেডিট ইস্যু হয়েছে বলে জানতে পারে।