নয়াদিল্লি: সুনন্দা পুস্কর মামলায় চার্জশিট দিল দিল্লি পুলিশ। তাতে শশী তারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুনন্দাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি সুনন্দার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগও রয়েছে তারুরের বিরুদ্ধে। মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত নাম রয়েছে তাঁরই।
সুনন্দার রহস্যজনক মৃত্যুর ব্যাপারে আজ মেট্রপলিট্যান ম্যাজিস্ট্রেট ধর্মেন্দ্র সিংহের এজলাসে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২৪ মে সেটি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
তারুরকে অভিযুক্ত হিসাবে তলব করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
সুনন্দাকে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিল্লির এক বিলাসবহুল হোটেলে তাঁর স্যুইটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেই রাতেই স্যুইটটি তদন্তের জন্য সিল করে দেওয়া হয়।
তারুর তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। তাঁকে চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ (স্বামী বা তাঁর আত্মীয়ের একজন মহিলার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ) ও ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০১২-র ২২ আগস্ট বিয়ে হয় সুনন্দা, তারুরের।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, বিয়ের তিন বছর, তিন মাস, ১৫ দিনের মধ্যেই সুনন্দার মৃত্যু হয়। সুনন্দার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ২০১৫-র ১ জানুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) ধারায় এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।

তারুর অবশ্য এই চার্জশিট অসঙ্গত, অযৌক্তিক বলে জানিয়ে আইনি রাস্তায় যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্যুইট করেছেন, এই অবাস্তব চার্জশিট দাখিল হওয়ার বিষয়টি দেখেছি। প্রবল ভাবে এর বিরোধিতা করতে চাই। আমার দিক থেকে প্ররোচনা দেওয়া দূরের কথা, সুনন্দার পরিচিত কেউই বিশ্বাস করেন না, ও আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।




তারুর আরও লিখেছেন, দিল্লি পুলিশের উদ্দেশ্য, পন্থা-পদ্ধতি মহত্ বলে এ থেকে মনে হচ্ছে না। ২০১৭-র অক্টোবরে আইনি অফিসার দিল্লি হাইকোর্টে বিবৃতি দিয়ে জানালেন, তাঁরা কারও বিরুদ্ধে কিছুই পাননি, আর ৬ মাস বাদে বলছেন, আমি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছি। অবিশ্বাস্য!




যদিও দিল্লি পুলিশের দাবি, মেডিকো-লিগাল ও ফরেনসিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের চার্জশিট চূড়ান্ত হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, সুনন্দাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিলেন তারুর। পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল অটোপসি করা হয়েছে বলেও জানান দিল্লি পুলিশের জনৈক মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর আদালতের নজরদারিতে সুনন্দার মৃত্যুর সিট তদন্ত চেয়ে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদন নাকচ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। বলে, রাজনৈতিক স্বার্থপুষ্ট মামলার টেক্সবুক উদাহরণ স্বামীর ওই আবেদন। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যান স্বামী।