গুরুগ্রাম: রায়ান হত্যায় এবার খোদ হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। ঘটনা এমনদিকে গড়িয়েছে, যে সিবিআই জনাকয়েক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতারও করতে পারে।

দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রদ্যুম্নর হত্যার পর থেকে গুরুগ্রাম পুলিশের তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রদ্যুম্নের বাবাও স্থানীয় পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে পারেননি, সিবিআই তদন্ত চান তিনি। খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ স্কুলের বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে। তারপর তাঁকে জোর  করে চাপ দিয়ে খুনের দায় নিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রদ্যুম্নকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ আনে তারা। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় এই অভিযোগের সদ্যতা মেলেনি। এমনকী এ কথাও বলে, খুনে ব্যবহার করা ছুরি অশোক বাসের ফার্স্ট এইড বক্স থেকে জোগাড় করেছিলেন।

যদিও সিবিআই তদন্তে নেমে অল্পদিনের মধ্যেই সন্দেহের তালিকায় এনে ফেলে ১১ শ্রেণীর ছাত্রটিকে। তাকে গ্রেফতারও করে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বরং জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্ত বাস কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে তারা কোনও প্রমাণ পায়নি। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কাদের স্বার্থরক্ষায় হরিয়ানা পুলিশ এক নির্দোষকে খুনের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল।