নয়াদিল্লি: নিজের ঘরের রাজ্য গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে, এতটুকু টাল খায়নি। 'স্বস্তিদায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা' নিয়েই গুজরাতে তারা সরকার গড়ছে। রাজ্যে ভোটের ফলের গতিপ্রকৃতিতে এটাই স্পষ্ট বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। কংগ্রেস বিশেষত, তাদের নয়া সভাপতি রাহুল গাঁধীর আক্রমণাত্মক প্রচার, বিরোধিতা সত্ত্বেও দল ক্ষমতা 'দখলে রাখবে' বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা 'কাজে আসেনি', গুজরাত উন্নয়ন মডেলকেই বিজেপির পক্ষে অনুকূল হাওয়া ওঠার কারণ বলে ব্যাখ্যা করছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ফলাফলকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন পলিসির প্রতি মানুষের সমর্থন বলে ব্যাখ্যা করেন। আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, উন্নয়নই আজকের রাজনীতির মন্ত্র। সেজন্যই মানুষ মোদীজীর সঙ্গে রয়েছেন। উচ্ছ্বাসের মুড দেখিয়ে মোদীও সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢোকার সময় ভিকট্রি বা জয়সূচক চিহ্ন দেখান। বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ আবার রাহুল গাঁধী গিরগিটির মতো ঘনঘন রং বদলান বলে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, সেজন্যই উনি মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ম্যাজিকের ফল। উন্নয়ন ও নরেন্দ্র মোদীর ওপর মানুষের আস্থার জয় হল বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ গুজরাত, হিমাচলের ফলকে রাহুল গাঁধীর কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে প্রথম পরাজয় বলে দাবি করে বলেন, ওঁর ক্যারিশমা কোনও দাগই কাটতে পারেনি।
দলের সহ সভাপতি শ্যাম জাজু বলেছেন, চারটি বিধানসভা ও ২টি লোকসভা, টানা ৬টি নির্বাচনে জিতে আমরা রেকর্ড গড়েছি। এখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া চলছে না। প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয়তা অম্লান রয়েছে। অমিত শাহের স্ট্র্যাটেজি কাজ করেছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও এক সুরে বলেন, উদ্বেগের কিছুই নেই। গুজরাতে ভাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই সরকার গড়ছি আমরা।