যদিও হোটেলে কোনও গোমাংস পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে জানা গেছে, হোটেলটি চালানোর কোনও অনুমতিও ছিল না।
গত রবিবার রাতে হোটেলের বাইরে মাংসের টুকরো ছোঁড়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাধ্বী কমলের নেতৃত্বে গো রক্ষক দলের সদস্যরা এই অভিযোগ তোলেন। হোটেলের কর্মীরা বাইরে মাংসের টুকরো ছোঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা ঘিরে হোটেলের কর্মী ও গো রক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল গোমাংস রান্না হয় বলে গুজব ছড়ালেও হোটেলে কোনও গোমাংস পাওয়া যায়নি।
জয়পুর পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, হোটেল চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স মালিকের নেই। তাই হোটেলটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
গো রক্ষক দলের অভিযোগ, হোটেল কর্মীরা বাইরে মাংসের টুকরো ফেলেন। ওই মাংস খেয়ে গরুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের ম্যানেজার ও এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এই ঘটনায় পুলিশের কাজের তীব্র সমালোচনা করেছে পিপলস লিবারেশন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল)। সংগঠনের কবিতা শ্রীবাস্তব বলেছেন, পুরো ঘটনা রাজ্য সরকারের হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার প্রতিফলন।