বুলন্দশহর (উত্তরপ্রদেশ): নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা রাহুল গাঁধীর মুখে। তবে তাতেও যেন মিশে রইল কটাক্ষের ছোঁয়া! আড়াই বছরের শাসনকালে এটাই মোদীর প্রথম প্রধানমন্ত্রীসুলভ পদক্ষেপ! বলেছেন উত্তরপ্রদেশে রোড শো-য়ে ব্যস্ত কংগ্রেস সহ সভাপতি। তাঁর দল প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তানে ঢুকে সামরিক আঘাত হানার সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন করে বলে জানিয়ে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো কাজ করলে আমিও তাঁকে সমর্থন জানাই। গত আড়াই বছরে এই প্রথম তিনি এমন কিছু একটা করলেন যেটা প্রধানমন্ত্রী পদের উপযুক্ত বলা যায়। এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ।


দেওরিয়া থেকে দিল্লি চলতি ‘কিষাণ পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে মোদীর একতরফা সমালোচনাই করে আসছেন রাহুল। কিন্তু ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভূখণ্ডে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করে ফিরে আসার পর তিনিও মোদীতে মোহিত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, উনি আমার, কংগ্রেস দলের পূর্ণ সমর্থন পাবেন। গোটা দেশ ওনার পাশে আজ।

উরি হামলার পর রাহুলকে কিন্তু বলতে শোনা গিয়েছিল, আমি সেনা জওয়ানদের পাশে আছি। পাকিস্তানিরা ওদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। তবে মোদী জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-র সঙ্গে দূরদৃ্ষ্টিহীন’ রাজনৈতিক রফা করেছেন বলেই সন্ত্রাসবাদীরা মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার ৯ বছরের শাসনে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করে তা দমন করেছে। এমনকী এনডিএ সরকারের কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও নীতিই নেই বলে দাবি করে মোদীকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, উনি এক অনুষ্ঠান থেকে আরেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা সিরিয়াস ব্যাপার। জনসভা করা নয়।   কিন্তু আজ সুর বদলে যায় সেই রাহুলেরই।