এর আগে বুধবার সর্বভারতীয় সংবাদপত্রগুলিতে তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞাপনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ছবি দিয়ে ভারতকে তাইওয়ানের স্বাভাবিক মিত্র বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে আপত্তি জানায় চিন। সাংবাদিকদের ই-মেল করে চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করা চলবে না। বৃহস্পতিবার পাল্টা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্বাধীন। সংবাদমাধ্যম যেরকম মনে করে, সেভাবেই খবর প্রকাশ করে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বেজিংয়ের পরামর্শকে একহাত নিয়েছেন তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী যোসেফ উয়ু। তাঁর ট্যুইট, সদাজাগ্রত সংবাদমাধ্যম ও স্বাধীনতাকামী জনতা সহ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, কমিউনিস্ট চিন সেন্সরশিপ জারির মাধ্যমে উপমহাদেশ এগোতে চাইছে। তাইওয়ানের ভারতীয় বন্ধুদের এর একটাই উত্তর-দূর হঠো!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ওপর চিনের এ ধরনের খবরদারির মানসিকতাকে এভাবেই একহাত নিয়েছেন তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী।
শনিবার তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ-ওয়েন যদি বেজিং তাইপেইয়ের উদ্বেগের বিষয়গুলি শোনে এবং তাইওয়ানের প্রতি মনোভাব বদলে এই স্বশাসিত দ্বীপ গণতন্ত্রের সঙ্গে আলোচনা পুণরায় শুরু করে তাহলে তিনি চিন ও এই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার আশা করছেন।