নয়াদিল্লি:মাত্র পনেরো বয়সের মেয়েকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন তার বাবা-মা। ঘটনাটি অসমের। শিশুপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই মহিলা এবং শিশুর বাবাকে।

করোনা মহামারীতে গোটা বিশ্ব একরকম ঘরে বন্দি। কিন্তু রোজগার হবে কেমন করে! গরিব মানুষ,পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গীন দশার খবর ক্রমেই বাড়ছে। স্রেফ কিছু পেটে দিয়ে বেঁচে থাকার জন্য কত মানুষ কত রকমের বেপরোয়া পদক্ষেপ করছে। তারই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ অসমের পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতির ১৫ দিনের শিশুসন্তানকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রির ঘটনা।পুলিশ সন্তানটিকে উদ্ধার করেছে।

যে সমাজেসেবী সংগঠন শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যবস্থা করেছে, সেই নিদান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিগম্বর নারজারির কাছে থেকে জানা যাচ্ছে গুজরাতে কাজ করতে গিয়েছিলেন ধানতোলা মান্দারিয়া এলাকা বাসিন্দা দীপক ব্রহ্ম ও তাঁর স্ত্রী। সেখানে তাঁরা শ্রমিকের কাজ করতেন। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁরা কর্মহীন হন। এই আবহে কাজ যোগাড় করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কাচুগাঁও পাতাগ্রামে নিজেদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তারা থাকতে শুরু করে। তীব্র অনটনের মধ্যেই দীপকের স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এটি তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা। প্রথমটির বয়স মাত্র এক বছর। অনেক কাজ খুঁজেও কোনও কিছু না পেয়ে কন্যাকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন দীপক। দুই মহিলাকে ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাচ্চা বিক্রি করে দেন। কোচিগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করে দীপকের স্ত্রী ও গ্রামবাসীরা।