নয়াদিল্লি: অটলবিহারী বাজপেয়ীর ৯৪-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১০০ টাকার স্মারক মুদ্রার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে জল্পনা ছড়ায় নরেন্দ্র মোদির একটি মন্তব্যে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের রাজনীতির চেনা ছবিটা হল কেউ কেউ ২ থেকে ৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে হলেই অশান্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগটাই বিরোধী আসনে কাটিয়েছেন, যদিও সবসময় দেশ ও দেশবাসীর কথাই ভেবেছেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি মানুষের মঙ্গলে দায়বদ্ধ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন মোদি। এও বলেন, কিছু মানুষের কাছে ক্ষমতাই অক্সিজেন, যা ছাড়া তারা বেঁচে থাকতে পারে না। অটলজি জীবনের দীর্ঘ সময় বিরোধী শিবিরে কাটালেও জাতীয় স্বার্থের কথা বলেছেন, দলের আদর্শের প্রশ্নে কখনও আপস করেননি।
সরাসরি কারও নাম না করলেও বিরোধী শিবির, বিশেষ করে কংগ্রেসকেই তিনি এই মন্তব্যে কটাক্ষ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বাজপেয়ী সবসময় নিজের, পার্টির আগে দেশ ও গণতন্ত্রকে স্থান দিতেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বাজপেয়ীর রাজনৈতিক যাত্রাপথ নিয়ে বলেন, অটলজী চাইতেন, গণতন্ত্রই থাকুক সবার ওপরে। তিনি জনসঙ্ঘ গড়েছিলেন, কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষার প্রশ্ন বড় হয়ে উঠতেই তিনি ও অন্যরা জনতা পার্টিতে যোগ দেন। তেমনই ক্ষমতায় বহাল থাকা আর আদর্শের প্রশ্নে আপসের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার সময় এলে তিনি জনতা পার্টি ছেড়ে বিজেপি গঠন করেন।
‘তিল তিল করে অটলজী যে পার্টি গড়েছেন’, তা আজ গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলির একটি বলে জানান মোদি, বলেন, বাজপেয়ীই দেশে পদ্মের বীজ বপন করেছিলেন। এও বলেন, উনি যখন ভাষণ দিতেন, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গোটা দেশ শুনত। অটলজীর ভাষণ শুধু বিজেপির কণ্ঠস্বরই হয়ে ওঠেনি, তাতে আমআদমির প্রত্যাশা, মনের কথাই ফুটে উঠত।

অনুষ্ঠানে বাজপেয়ীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন।